সকল মেনু

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

kalapara-01 (17-09-13) 02  নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৭ সেপ্টেম্বর :  মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সন্ত্রাসী বাবুল বাহিনীর সন্ত্রাস তান্ডবের প্রতিবাদে চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মাদ্রাসা সড়কের নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের শত শত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। তবে পুলিশের বাধার কারণে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয় নি। এসময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে হেমায়েত উদ্দিন হিরন। তিনি জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর মিঠাগঞ্জের চেয়ারম্যান হিসাবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ২২ মের নির্বাচনে ফের তিনি নির্বাচিত হন। কিন্তু তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধী বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সফিকুল ইসলাম বাবুল ইর্ষান্বিত হয়ে তার নিজের এবং সমর্থকদের বিভিন্নভাবে মারধর, হামলা, প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ বাবুল তার বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য রিয়াজ পাহলোয়ান, বদরুল পাহলোয়ান, মনির মৃধা, আউয়াল হাওলাদার, ইব্রাহিম হাওলাদার, আবু তালেব হাওলাদার, শাহআলম, শহিদুলসহ ১৫/২০জন হোন্ডাযোগে মেলাপাড়া গ্রামে চেয়ারম্যানের সমর্থক আব্দুল গনি হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালায়। মারধরে গণি হাওলাদারসহ তার ছেলে টুকু হাওলাদার ও লিটন মাদবর গুরুতর আহত হয়। তাদের বুকের উপরে পা দিয়ে আঘাত করা হয়। এমনকি কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। চেয়ারম্যান দাবি করেন বাবুল বাহিনীর সদস্য মিঠাগঞ্জের আরেক বাবুল, মেশাররফ, সালাহউদ্দিন, মামুনের নেতৃত্বে মাসুম ও সালমা নামের এক মহিলা আহত হয়। কাটাখালী স্লুইস গেট এলাকায় ১৬ সেপ্টেম্বর এই হামলার ঘটনা ঘটে। একইভাবে পুর্ব মধুখালী গ্রামের শয়ন, ফেরদৌস, হারুন। চরপাড়া গ্রামের হাবিব। আলীগঞ্জ গ্রামের নাসির, জসিম, টুলুসহ অন্তত ৩০ সন্ত্রাসী গোটা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সন্ত্রাসের রামরাজত্ব চালাচ্ছে। নিরীহ মানুষ এই বাহিনীর ভয়ে অতিষ্ঠ রয়েছে। এরা প্রকাশ্যে বগি দা, রাম দা ও হকি স্টিক নিয়ে সাধরন মানুষের উপর হামলে পড়ে। চেয়ারম্যান জানান, তাকে মোবাইলে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে হত্যার হুমকি। হেমায়েত উদ্দিন হিরন আরও অভিযোগ করেন এই বাহিনী কথিত সালিশ বাণিজ্য, বনাঞ্চলের গাছ কাটাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। তিনি জরুরী ভিত্তিতে এঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে যুবলীগ উপজেলা সভাপতি অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বাবুল খান সাংবাদিকদের জানান, তার কোন বাহিনী নেই। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে অতি সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে তার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top