সকল মেনু

ফরিদপুরে পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘন্টায় ৪০ জন গ্রেপ্তার

হটনিউজ ডেস্ক:


গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর জেলায় ১০৪০ পিস ইয়াবাসহ ৩ জন ও ২ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করা হয়। জেলায় মোট ১০ টি মামলা রুজু করা হয়। নিয়মিত মামলাসহ পুরাতন মামলায় ১৮ জন আসামি ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে ১৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ ৯টি প্রসিকিউশন দেয়। ৬৮ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করে ও ৮ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আটক করা হয়। ফরিদপুর জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা পুলিশ জানান, ১০ জানুয়ারী দুপুরে জেলার ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ আবুল কালাম আজাদ সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে মালিগ্রাম বাসস্ট্যান্ড পুলিয়া-মালিগ্রাম হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে দক্ষিন পাশের লেনের মহাসড়কের উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করে আসামী ছোটন দাস(৩২), পিতা-ভোজেন্দ্র দাশ ওরফে ব্রজেন্দ্র, সাং-রুমখা পালং(কোটপাড়), মোঃ নুর মোহাম্মদ(২৪), পিতা-মুকুল আহম্মদ, সাং-রত্মা পালং(কোটপাড়), উভয় থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, মোঃ আমির হোসেন(২২), পিতা-আহম্মেদ শেখ, সাং-বড়দিয়া, থানা-ভাংগা, জেলা-ফরিদপুরদের গ্রেফতার করেন। আসামীদের দেহ তল্লাশী করে কোন অবৈধ মাদকদ্রব্য না পেয়ে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামী ছোটন দাস(৩২) স্বীকার করে যে, সে কক্সবাজার হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সুকৌশলে কালো কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ক্যাপসুল আকারে তার মুখদিয়ে ঢুকিয়া পেটের ভিতরে করে নিয়ে এসেছে এবং এখন তার পেটের ভিতরে উক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। পরবর্তীতে আসামীদের নিয়ে ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহসিন উদ্দিন ফকির সাহেবের অফিসে রুমে তাকে বিষয়টি অবহিত করে। তিনি আসামীদের পেটের এক্স-রে করার পরামর্শ দেন পরবর্তীতে ভাংগা থানাধীন নিউ সেবা (প্রাঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার হতে আসামীদের পেটের এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্ট অনুযায়ী আসামী ছোটনের পেটের ভিতরে শরীরের সাথে সম্পর্কিত নয় বা শরীরের অংশ নয় এমন কোন বস্তু রয়েছে। উক্ত এক্স-রে রিপোর্ট ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহসিন উদ্দিন ফকির সাহেব দেখে তিনি আসামী ছোটন দাসের পেটের ভিতরে থাকা উক্ত বস্তু পায়ুপথ(মলদ্বার) দিয়ে বের করার জন্য আসামীকে ঔষধ সেবন করান। পরবর্তীতে ভাংগা থানাধীন কাপুড়িয়া সদরদী সাকিনস্থ ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরের পূর্ব পাশে হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল সংলগ্ন ফাকা জায়গায় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামী ছোটন দাস প্রাকৃতিক নিয়মে পায়ুপথ(মলদ্বার) দিয়ে আসামী নিজ হাতে মলের সাথে কালো রংয়ের কসটেপ ও সাদা রংয়ের পলিথিনের কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ক্যাপসুল আকারে ২৬(ছাব্বিশ) টি পোটলা(ক্যাপসুল) বের করে দেয়। যার প্রতিটি পোটলায়(ক্যাপসুল) ৪০(চল্লিশ) পিস করে সর্বমোট ১,০৪০(এক হাজার চল্লিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ওজন ১০৪(একশত চার) গ্রাম, যাহার মূল্য অনুমান তিন লক্ষ বারো হাজার টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া ভাংগা থানা পুলিশের আরেকটি টিম পৃথক অভিযানে ২ জন নিয়মিত মামলার আসামি ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ জন আসামীকে আটক করে।

আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে প্রকাশ্যে টাকার বিনিময়ে তাস দ্বারা জুয়া খেলার অপরাধে রাজু ভূইয়া (২৬), পিতা- মৃত মাহবুব আলম ভূইয়া, পলাশ মন্ডল (৪০), পিতা- মৃত নুরুল হক মন্ডল, সাং- ফলিয়া, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর গ্রেফতার করেন কিন্তু জামাল বিশ্বাস (৪৫), পিতা- মধু বিশ্বাস, চুন্নু মিয়া (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, হেলাল মোল্যা (২৫), পিতা- আইয়ুব মোল্যা, সর্ব সাং- ফলিয়া, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর পলিয়ে যায়। উক্ত গ্রেফতাকৃত আসামীদ্বয়কে থানায় নিয়ে এসে ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে টাকার বিনিময়ে তাস দ্বারা জুয়া খেলার অপরাধে এজাহার দায়ের করা হয়।

কোতয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সালথা থানা পুলিশের অভিযানে ২ জন নিয়মিত মামলার আসামি ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে ১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সদরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ১টি মামলা রুজু করা হয়।

মধুখালী থানা পুলিশ কর্তৃক ২টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে নিয়মিত মামলার ১জন আসামি গ্রেফতার করা হয়।

বোয়ালমারী থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলে ২ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়।

ফ‌রিদপুর ট্রা‌ফিক পুলিশ কর্তৃক রুজু কৃত মামলার সংখ‌্যা – ৯ টি,
নিষ্প‌ত্তিকৃত মামলার সংখ‌্যা- ২২ টি, আদায় কৃত জর‌মিানার প‌রিম‌ান- ৬৮,৫০০/- টাকা।
আটক স‌ংখ‌্যা- মোটর সাইকেল- ৪ টি , ট্রাক- ১ টি, ইজিবাইক- ২ টি ও বাস- ১ টি ।

ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম, অভিযান পরিচালনায় অর্জন ও সেবাপ্রাপ্তির খবরা-খবর জনগণের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা পুলিশের প্রতি ইউনিট সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top