সকল মেনু

সাংবাদিক নাজনীন আশংকামুক্ত

chondromukhu-0320130916130725  নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর:  একমাত্র মেয়ে চন্দ্রমুখীর মৃত্যুর আঘাত সইতে না পেরে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়া দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক নাজনীন তন্বী এখন আশংকামুক্ত। সোমবার রাতে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার অপারেশন শেষে একথা জানালেন কর্তব্যরত নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. ফজলুল হক। তিনি হটনিউজকে জানান, নাজনীন এই মুহূর্তে আশংকামুক্ত। ডা. ফজলুল আরও বলেন, নাজনীনের হাতের কনুই ও বুকের বাঁ পাশের একটি হাড় ভেঙে গেছে। তার কোমরেরও একটি হাড় ফেটেছে। পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডেও আঘাত লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি পা নাড়াতে পারছেন না। তবে মাথায় কোন আঘাত লাগেনি। উল্লেখ্য, দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন তন্বীর কন্যা চন্দ্রমুখী (বয়স ৫ বছর তিন মাস) জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলো ঢাকা শিশু হাসপাতালে। চন্দ্রমুখীর বাবা রকিবুল ইসলাম মুকুল গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেদক। মেয়েটির লিভার কাজ করছিলো না। হাসপাতালে ভর্তির ৬ষ্ঠ দিন সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ডাক্তাররা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রমুখীর মা এবং বাবা। বিকেল পাঁচটার দিকে নাজনীন বাসায় ফিরে যান। মুকুল তখন হাসপাতালেই ছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে নাজনীন কল্যাণপুরের বাসার পাঁচ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত লোকজন নাজনীনকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাজনীনের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, চন্দ্রমুখী ছিলো নাজনীন-মুকুল দম্পতির একমাত্র সন্তান। গত কয়েকদিন ধরেই মেয়েটির অবস্থা খারাপ ছিলো। ডাক্তাররা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন আগেই।বাবা-মায়ের মন মেনে নিতে পারছে না একমাত্র সন্তানের এ মৃত্যু। অসময়ে চন্দ্রমুখীর চলে যাওয়ায় নাজনীন-মুকুলের সহকর্মীরাও শোকাহত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top