সকল মেনু

গরীবের সম্পদ থাকলে অনেকের নজর পড়ে- শেখ হাসিনা

  Hasina-120130914183149নিজস্ব প্রতিবদেক, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর:  আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন অনেকের ভালো লাগে না। সেজন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গরীবের ঘরে সম্পদ থাকলে অনেকেরই নজর পড়ে। কারণ আমরা তো সমুদ্র বিজয় করেছি। এই বিজয়কে ম্লান করতে ব্যস্ত অনেকেই।শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন জেলার নেতাদের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সভায় বরিশাল জেলা, বরিশাল মহানগর, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, পিরোজপুর, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ তৃণমূল নেতারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী দলীয় নেতা হত্যার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতার লোভে দেশ বেঁচে দিতেও দ্বিধা করবে না। ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার ছেলে ও কেবিনেটের মন্ত্রীরা এর সাথে জড়িত।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। এজন্য তারা আমাদের পেছনে লেগেই আছে। খুনি ও জঙ্গিদের মদদ দেয়া ও বোমা হামলা করাই বিএনপির কাজ।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত ও উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান সংশোধন করেছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সংবিধান আমরা পেয়েছি সে সংবিধানের অধীনেই দেশ চলবে। আগামী নির্বাচনও সংবিধানের আলোকে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চালাতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি বিরোধী দলীয় নেতাকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালাম। আর উনি আমাকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন। বললেন আমি নাকি পালানোর পথ পাবনা। আমি এখনো আছি। ক্ষমতায় নেয়ার মালিক জনগণ। মান সম্মানের মালিক আল্লাহ।’ হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা শত শত কোরআন পুড়িয়েছে। বায়তুল মোকাররমে আগুন দিয়েছে তাদের হাতে ইসলাম হেফাজত হয় কীভাবে? শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে আরো বলেন, তিনি কয়দিন আগেও বলেছেন হেফাজতের সমাবেশে নাকি দেড় লাখ গুলি ছোঁড়া হয়েছে। এত গুলি ছুঁড়লে তো মতিঝিলের সব দালান ঝাঁঝরা হয়ে যেত। আরো অপপ্রচার চলছে হেফাজতের সমাবেশে নাকি ২৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে নিহতদের তালিকা চাইলাম। তারা দিতে পারল না। পরে অধিকার বলল নিহত হয়েছে ৬১ জন। দেখা গেল এ তালিকার ২৫ জনের কোন নাম ঠিকানা নেই। তিন জন এখনো বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ছে।’ এ সময় আওয়ামী লীগে নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকি, কাজী জাফর উল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লা প্রমুখ।

 

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top