মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ উপজেলার পাছআলমশ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতায় কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পাঠকার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটি জানায়, অত্র বিদ্যালয়ে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও সহকারি শিক্ষক ফরহাদ তাদের এলাকার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করায় সকল শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত বুধবার শিক্ষক ফরহাদ মিয়ার বাড়ীতে জমি কিনার উৎসবে দাওয়াত থাকায় ঐদিন সাড়ে এগারটায় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট এ প্রতিনিধি স্কুল বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা রকম হুমকি প্রদর্শন করেন। এ নিয়ে শনিবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে পৌঁছলে ছাত্র অভিভাবক মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নাজিমুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, আঃ রহিম, খান বাহাদুর, আঃ রহিম রতন, মোঃ শাজাহান, আঃ রহমান স্কেনু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ডালিমসহ আরো অনেকে অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষক ফরহাদ মিয়ার যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক তাদের একক আধিপত্য বিস্তার করে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন করছে। ঐ সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন বলেন, তার বড় মেয়ের মৃত্যু সংবাদ বলা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক তার ছোট দুই সন্তানের পরীক্ষা ফিস না দেওয়ায় তাদেরকে পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করতে দেয়নি, বরং বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। বুধবার বিদ্যালয় বন্ধের ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের নিকট জানতে চাওয়া হলে সুবর্না, বন্যা, নাসরিনসহ আরো অনেকে জানায় ফরহাদ স্যারের বাড়ীতে দাওয়াত থাকায় স্কুল সাড়ে এগারটায় ছুটি দেয়। তারা আরো বলে প্যারাশিক্ষকগণই বেশিরভাগ সময় আমাদের ক্লাশ নেন। সরকারি শিক্ষকগণ কেউ নিয়মিত আসে না। প্যারাশিক্ষকদেরকে প্রতি মাসে আমাদের ২০টাকা করে দিতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল হক বাঙালির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এবং বিদ্যালয়ে অনিয়মিত থাকায় তাকে কয়েকবার শোকজ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।