সকল মেনু

ইন্টারনেটে ‘নিষিদ্ধ জিনিসে’ জড়িয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর অধ্যাপকের আত্মহত্যা?

হটনিউজ ডেস্ক:

হেডফোনের তার দিয়ে হাত বাঁধা, ঘরের সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের কোচবিহারের উৎপল বর্মন (৩৬) নামের এক কলেজ শিক্ষকের মৃতদেহ। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে এভাবেই নিজে আত্মহত্যা করেছেন ওই কলেজ শিক্ষক। সম্ভবত ২ দিন আগে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে বুধবার তিনি আত্মঘাতী হন।

এরই মধ্যে উৎপলের বন্ধুরা চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি উৎপলবাবুর কাছ থেকে অশ্লীল মেসেজ পেতেন তারা। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অবৈধ কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি?

পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে উৎপলবাবু লিখেছেন, ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে ১২ পাতার সুইসাইড নোটে আর কী রয়েছে তা এখনো ধোঁয়াশা। বুধবার সকালে দেহ উদ্ধারের সময় উৎপলবাবুর হাত ছিল মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসফ্রি দিয়ে বাঁধা। স্ত্রী ও পুত্রকে মোবাইল ফোনের চার্জারের তার পেঁচিয়ে খুন করেছিলেন তিনি।

এ ঘটনা নিয়ে কোচবিহার পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে উৎপলবাবু লিখেছেন, ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যা স্পষ্ট হয়েছে অধ্যাপকের মোবাইল ফোনের যোগ। নিহত উৎপল বর্মনের বন্ধুরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ইন্টারনেটে কোনও নিষিদ্ধ জিনিসের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন উৎপল। যার জেরে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার সকালে কোচবিহার শহরের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় উৎপল বর্মন (৩৬), স্ত্রী অঞ্জনা (৩২) ও শিশুসন্তানের মৃতদেহ। সঙ্গে উদ্ধার হয় ১২ পাতার একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট। পরিবারের সদস্যরা জানান, ইন্টারনেটে খেলায় টাকা লাগাতেন তিনি। বাড়ির মালিক যদিও জানিয়েছেন কোনওদিন কোনও অশান্তির আঁচ পাননি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top