সকল মেনু

কোম্পানির এমডির গাড়িতে থাকা সেই অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে

হটনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাউদার্ন সিএনজি স্টেশনের বিপরীত পাশের সড়কে পড়ে থাকা একটি প্রাইভেটকার থেকে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সঞ্জয় কুমার ঘোষ। বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়।

তিনি ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কালাম হোসেনের গাড়ি চালক। যে গাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই গাড়িটি তিনিই চালাতেন। এদিকে লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সঞ্জয়ের লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে টয়োটা ব্রান্ডের এসইউভি গাড়িটি ঘটনাস্থলে পড়েছিল। শনিবার রাতে গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে গাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে।

ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের জিএম আহসানুল হক জানান, গত ৭ অক্টোবর মহাখালীর অফিস থেকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কালাম হোসেনকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকে গাড়িসহ নিখোঁজ ছিলেন সজল কুমার। তিনি ধানমন্ডি থেকে মহাখালী যাচ্ছিলেন। কারণ গাড়িটি মহাখালীর অফিসেই পার্কিং করে রাখা হতো। ওইদিন বিকাল তিনটার পর থেকে গাড়ি এবং চালকের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনায় শনিবার ধানমণ্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এহসানুল হক আরও জানান, সঞ্জয়ের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল বলে জানা নেই।সঞ্জয় প্রায় ২ বছর ধরে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়ি চালাতেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। তবে কে বা কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে- তা এখনো জানতে পারিনি।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। গাড়িটি যেখানে ছিল সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে। এর মাধ্যমে খুনীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোটভাই সুমন কুমার ঘোষ বাদী হয়ে মামলা করার কথা রয়েছে। মামলার এজাহার লিপিবদ্ধ করা হলেও তিনি এতে স্বাক্ষর করছেন না। এ কারণে মামলা রেকর্ড করা যাচ্ছে না। সুমনকে কেউ ভয় দেখিয়েছে কি না- সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, মামলা করতে বাদীর খুব একটা আগ্রহ দেখছি না।

পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, যদি কেউ মামলা না করে তাহলে শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। বিষয়টি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজ আল ফারুক এবং সহকারী কমিশনার আশিক হাসান মনিটরিং করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top