সকল মেনু

বিয়ে ঠিক হওয়া মেয়েটি এখন আব্দুল্লাহ জিসান

হটনিউজ ডেস্ক:

এই তো সেদিনের কথা। তখনো জানা ছিল না, এসএসসি পরীক্ষার্থী এই মেয়েটির জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে তত দ্রুত তার শরীরিক গঠন পাল্টাচ্ছে। কিছুটা আঁচ করতে পারছিল সে। তাই তো বাবা-মার ঠিক করা পাত্রকে বিয়ে করতে মন সায় দিচ্ছিল না। চূড়ান্ত পর্যায়ে দেখা গেল সেই মেয়ে এখন ছেলেতে পরিণত হয়েছে।

বলছিলাম, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জন্ম নেওয়া লাভলী আক্তারের (১৫) কথা। সে স্থানীয় নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার বড় মেয়ে। হঠাৎ করেই লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে গেল তার। এখন সে আর লাভলী নয়; তার নাম আব্দুল্লাহ জিসান।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তাকে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করেছেন বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার।

তিনি জানান, জানান, প্রায় কয়েক মাস আগে লাভলী আক্তারের মধ্যে ছেলেদের মতো ভাব আসে। একবার তার বিয়েও ঠিক হয়েছিলো। লিঙ্গ পরিবর্তনের কারণে সে বিয়েতে মত দেয়নি, কিন্তু ওই সময় বিষয়টি কাউকে জানায়নি তার পরিবার। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হলে লাভলী আক্তারের বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে তাকে এক নজর দেখতে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন লাভলী আক্তারের (আব্দুল্লাহ জিসান) বাড়িতে কয়েক হাজার মানুষ আসে তাকে দেখতে। সবাই কৌতূহল নিয়ে তাকে দেখছে।

লাভলীর বাবা লাভলু জানান, তিনি তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দিন-রাত মানুষ ভিড় করছে তাকে দেখতে। এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো। এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিণত হওয়ার পর তার নাম রাখেন আব্দুলাহ জিসান।

লাভলু আরো জানান, শনিবার দুপুরে তার মাথার চুল কেটে পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লাভলীর (আব্দুল্লাহ জিসান) মা পারভিন আক্তার বলেন, ছয় মাস আগে লাভলীর বিয়ে ঠিক হলে তার গোপন বিষয়টি তার মাকে জানায়, অবিশ্বাস্য বলে মা সেই দাবি উড়িয়ে দেন। এরপর তিনি সবকিছু দেখে বিশ্বাস করতে বাধ্য হন।

লিঙ্গ পরিবর্তিত লাভলী জানায়, সাত মাস আগে থেকেই সে বিষয়টি লক্ষ করেছে। প্রথমে পরিবারে কয়েকজনকে জানায়। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে সবাইকে জানানোর ইচ্ছা থাকলেও এখন সেটা সেটা আর লুকানো যায়নি।

এ ঘটনা হরমোনজনিত সমস্যার কারণে ঘটেছে বলে অভিমত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এটা সাধারণত হরমোনজনিত সমস্যা। আমি এই বিষয়েরই ডাক্তার।

রোববার (১০ অক্টোবর) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে জানান এই ডাক্তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top