সকল মেনু

‘বঞ্চিত’ হওয়া থেকে সিলেটকে রক্ষা করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক:

বিভাগের বাকি ৩ জেলা তালিকায় থাকলেও ‘বঞ্চিত’ হতে যাচ্ছিল সিলেট। তবে সেটি হতে দেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আবদুল মোমেন।

দু-দেশের সম্প্রীতির স্বাক্ষর রাখতে করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত। চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশকে ১১০টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। সেই ১১০টি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় গত আগস্টে ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসে। এর মধ্য থেকে ১টি করে অ্যাম্বুলেন্স বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জে বরাদ্দ হলেও সিলেটকে রাখা হয় বঞ্চিত। তবে বিষয়টি নজরে আসলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তড়িত পদক্ষেপ নেন। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সিলেটের জন্য বরাদ্দ করান দুটি অ্যাম্বুলেন্স।

মঙ্গলবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদানকালে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার পর আমি স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা বলে জানতে পারি- সিলেট জেলার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ নেই। কিন্তু বিভাগের বাকি তিন জেলা- মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জে ভারতীয় উপহার অ্যাম্বুলেন্স দেয়া আছে। এটা শুনে আমি ডিসেপয়েন্টেড (হতাশ) হয়ে যাই। সাথে সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলি এবং দুইটি অ্যাম্বুলেন্স সিলেটে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে করোনা মোকাবিলার যৌথ প্রচেষ্টায় লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাংলাদেশের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাংলাদেশের করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে গত আগস্টের শেষ দিকে জানানো হয়, গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে প্রথম চালানে গত ১৭ আগস্ট ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় চালানে আরও ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে আসার পর ২৭ আগস্ট বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় এবং ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছে।

বাকি ৩৮টি অ্যাম্বুলেন্সও দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top