সকল মেনু

বাঞ্ছারামপুরে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসহায়তা

হটনিউজ ডেস্ক:

২৪ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হলো ৩ হাজার পরিবারের মাঝে। প্রত্যেকটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল এবং ৩ কেজি আটা।

কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়। এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি বাবু তপন চন্দ্র সূত্রধর, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা শমসাদ বেগম।

অন্যান্যদের মাধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুলতানা মরিয়ম। বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আব্দুল্লাহ, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, বসুন্ধরা গ্রুপের বিজিএম মাইমুন কবির, বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. জামাল উদ্দীন, মো. আনোয়ার হোসেন আনোয়ার, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তব চিত্র আমি আমার সামনে দেখেছি। এই মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণাবলী।

পত্র-পত্রিকা পড়ে দেখতে পাই বাঞ্ছারামপুরের মতো সারা বাংলাদেশে বসুন্ধরা এই খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের কল্যাণ কামনা করছি এবং পাশপাশি এই দান অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করছি। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম উপস্থিত কর্মহীন ব্যক্তিবর্গের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কালের কণ্ঠর প্রতিনিধি ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার।

জানতে চাইলে সুবিধাভোগী রহিছা বেগম (৬৫) খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পেয়ে আনন্দে বলে, এত বড় খাবারের বস্তা আমারে আর কেউ দেয় না। আমি হগলের লাগি দোয়া করি।
খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন দিলবরের নেছা (৫০)। তার হাত ভেঙে গেছে। বলেন, হাত ভাইঙ্গা না খাইয়া চলতাছি।

বসুন্ধরা অনেকটি খাবার দিছে। আল্লাহ যেন সবাইরে ভালা রাখে। দিনমজুর রব্বান মিয়া (৭০) বলেন, করোনার সময় কেউর কাছে টেহা হাওলাত চাইলেও দেয় না। খাইয়া না খাইয়া আছি। কেহ দেহে ও না। বসুন্ধরা আমরারে খাবার দিছে। বসুন্ধরার হগলের লাগি দুই হাত তুইল্লা আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।

এই সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালের কণ্ঠ শুভসংঘ এবং বাঞ্ছারামপুরের বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top