সকল মেনু

মাদ্রাসাছাত্রীর আত্তহত্যা

image_3759_02মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ  অপমান সহ্য করতে না পেরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার হোতখালী গ্রামে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাদিকা আক্তার (১৭) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী আত্তহত্যাকরেছে । সে বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় ও সাদিকার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের হোতখালী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আমির হোসেন খলিফার মেয়ে সাদিকা আক্তারের সাথে একই গ্রামের ইউপি সদস্য জামাল হোসেন খলিফার ছেলে ইমরান হোসেনের (২০) দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর আগে ইমরানের পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরি হয়। বর্তমানে সে ভোলা জেলায় কর্মরত। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাদিকার সাথে ইমরানের মুঠোফোনে কথা হয়। এরপর সাদিয়া ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না জড়িয়ে  আত্তহত্যা করে।

সাদিকার মা ফাতিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশে চাকুরি হওয়ার পর ইমরান বদলে যেতে থাকে। ইমরানের চাচা কামাল খলিফা কয়েকদিন আগে সাদিকাকে কটুক্তি করে। এরপর থেকে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। শুক্রবার মুঠোফোনে ইমরানের সাথে কথা বলার পর ও (সাদিকা) আতœহত্যা করে।

ইমরানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সাথে কথা বলা যায়নি।

কামাল খলিফা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ আমি এসবের কিছুই জানিনা।’

মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে প্রেমিকের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে মেয়েটি  আত্তহত্যা করতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top