সকল মেনু

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি

Chapai-pic-01-09-13-flood20130906135628ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর :  রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও মাগুড়া জেলায় অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ৮ জেয় অকাল বন্যার কারণে প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে পানি উঠেছে। রাজশাহীতে চারঘাট, বাঘাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতের বিহার উড়িষ্যা ও আসামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ব্রক্ষ্মপুত্র, তিস্তাসহ মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সাথে মাগুড়া, লালমনিরহাট, জামালপুর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। দেশের ৭৬টি পয়েন্টের মধ্যে ৫৬টি পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার পানি শুক্রবার ১৮ মিটার সেন্টিমিচার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলের কারণে পদ্মায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর পর পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। এ বছর হঠাৎ করে চারদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার কিছু অংশে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পদ্মার পানি ১৬ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন জেলা বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী কুড়িগ্রামও সিরাজগঞ্জ জেলায়। এই চার জেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। এমন এক সময়ে বন্যার পানি মাঠে প্রবেশ করেছে যখন আর দ্বিতীয়বার রোপা আমন লাগানোর কোন সুযোগ নেই। এমনকি নতুন করে বীজতলা করার সময়ও শেষ। এ অবস্থায় লাখ লাখ কৃষক সর্বশান্ত হওয়ায় উপক্রম হয়েছে। বন্যার কারণে ৫ লাখ পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। তবে শুক্রবার পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কোন ত্রাণ পৌছেনি বলে আমাদের প্রতিনিধিদের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মহানন্দা নদীর পানি ৪ সে.মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সে.মিটার এবং পদ্মা নদীর পানি ৫ সে.মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মহানন্দা নদীর পানি প্রবেশ করে শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী, টিকরামপুর, চরমোহনপুরের নিম্নাঞ্চলের কয়েক’শ বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। নামোশংকরবাটী ডিগ্রি কলেজেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top