সকল মেনু

ঈদকে সামনে রেখে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক:

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহার ছুটিতেও বিধিনিষেধ থাকবে। সোমবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, চলমান বিধিনিষেধ ঈদের ছুটির সময়েও থাকবে কি না, সেটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। চলমান ১৪ দিনের বিধিনিষেধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চলাচলসহ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। আর কোরবানির হাট চলতে দেওয়া হলেও লোকজনের আসা–যাওয়ার বিষয়টি হবে খুবই নিয়ন্ত্রিত। তবে কিছু বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। কারণ, গত ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছিল। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে যে যেখানে আছেন, সেখানে যেন ঈদ করেন।

ফরহাদ হোসেন বলেন, কোনো কারণে বিধিনিষেধ না থাকলেও, এই পরিস্থিতিতে সরকার ঈদের ছুটি দিলেও কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। আবার ছুটি কমিয়েও দেয়া হতে পারে। যেমনটি গত ঈদের সময় ছুটি একদিন কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার ডিজিটাল কোরবানির হাটের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। মানুষ যাতে সেখানে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কেনাকাটা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দাম ও ওজনের সমন্বয় থাকবে। আর যদি সশরীর হাট করতে হয়, তাহলে সেগুলো খুবই নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সবাইকে সংযতভাবে ও সুপরিকল্পিতভাবে কোরবানির হাট করতে হবে।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা কোরবানির পশুর হাটগুলো ডিজিটালি খুব বেশি ইফেকটিভ করার চেষ্টা করছি। মানুষ যাতে গরু কিনতে কম বের হয়। (ঈদের সময়) বাড়ি যাওয়ার ইম্প্যাক্টটি আমরা এখন বেশি পাচ্ছি। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে কীভাবে ছক করা যায়, সেটি ঠিক করব। কীভাবে কী করব ১২-১৩ জুলাইয়ের মধ্যে সেই অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন হবে।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ সোমবার আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়, ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে।

চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। আরও বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী।

তবে শিল্পকারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারছে। বিধিনিষেধের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top