সকল মেনু

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলা শুনানি পিছিয়েছে

khaleda-zia1আদালত প্রতিবেদক :  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত।  আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক মোতাহার হোসেন এ আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহবান করলে সাংসদ সংসদ অধিবেশন ডাকার সাতদিন আগে ও অধিবেশন শেষ হওয়ার সাতদিন পর পর্যন্ত সাংসদ আদালতে উপস্থিত হতে হবেন না। আবেদনে আরও বলা হয়, এ মামলার কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে অপেক্ষাধীন রয়েছেন। যে কারণে নতুন করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হোক। আসামি পক্ষের এ আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি আদালতকে বলেন, আসামি পক্ষ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মামলার কার্যক্রমকে বন্ধ করার পায়তারা করছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দদুক। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২৫ টি ধার্য তারিখ পার হলেও আইনি মারপ্যাচে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ এ মামলায় খালেদা জিয়া গত বছরের ১১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দেন। গত ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এ অনিয়মের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেকসহ ছয়জন আসামি। মামলার অপর আসামিরা হলেন- জিয়াউর রহমানের আত্মীয় মোমিনুর রহমান, সাবেক আমলা ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক বিএনপি সাংসদ কাজী সলিমুল হক ও সরফুদ্দিন আহমেদ। মামলায় এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ আনা হয়। জামিনে থাকা আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন।তারেক রহমান উচ্চ আদালতের আদেশে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top