সকল মেনু

খুনের রক্তে তাদের হাত রঞ্জিত- আসাদুল হাবিব দুলু

Kurigram BNP Picture-01ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  ভয়ঙ্কর দানব সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসেছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রক্তে হাত রঞ্জিত করেছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে এক দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে। নিজেরা সংবিধান পরিবর্তন করে এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এক চুলও নড়বে না বলে যে ঘোষনা দিয়েছেন তা থেকে তাদের সরে আসতে হবে। তা না হলে দেশবাসী ৪সিটি কর্পোরেশনে যে ভাবে হলুদ কার্ড দেখিয়েছে আগামী দিনে আওয়ামীলীগকে লাল কার্ড দেখাবে। সংবিধান মানুষের জন্য ইতিপূর্বে ১৫ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। আগামী দিনে আওয়ামীলীকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পূণস্থাপন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আওয়ামীলীগের অধীনে দেশ, জাতি, সংবিধান, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবন কিছুই নিরাপদ নয়। এরা যতবারই ক্ষমতায় আসে ততবারই দেশে সংকট সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ নেত্রী দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধি জীবি আকবর আলী ও আইনজ্ঞ রফিকুল হককে “মুই কার খালুরে” বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে যে সমালোচনা করেন, তার কারন তারা তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চান। বর্তমানে দেশের ৯০ভাগ মানুষ তত্বাবধায়কের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান মন্ত্রীর পাশে যে সমস্ত দূর্নীতি বাজ লোকজন রয়েছে তিনি তাদের সৎ বলে সার্টিফিকেট দেন। তাদের পরামর্শ গ্রহন করেন। রেলওয়ে কেলেঙ্কারীর হোতা বাবু সুরঞ্জিত ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন কে দেশপ্রেমিক উল্লেখ প্রধান মন্ত্রী তাদের সৎ ও দেশ প্রেমিক আখ্যা দেওয়ায় দেশ প্রেমিকের সংজ্ঞা বদলে গেছে। তিনি আজ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি আয়োজিত যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভির উল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় কুড়িগ্রাম পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি সাইফুর রহমান রানা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ, লুৎফর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, খ, ম শাহজাহান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হসিবুর রহমান হাসিব, সংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র নূর ইসলাম নূরু, দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান পিন্টু, মহিলা দলের আহবায়িকা এ্যাডঃ রেহেনা খানম বিউটি, সদর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলম সহ জেলা, উপজেলা, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় বিএনপির সকল ইউনিট, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক রির্পোট বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top