সকল মেনু

১ জনকে যাবজ্জীবন কারদন্ড

Vamaman-Adlot2শরীয়তপুর সংবাদদাতা :  শরীয়তপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল নারী ও শিশূ ধর্ষন মামলায় এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন। শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাজেদুল করিম জনাকীর্ন আদালতে ঘন্টাব্যাপী এই রায় পাঠ করে শুনানোর পর এ রায় দেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের লর ২৪ জুলাই শরীয়তপুর সদর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মোঃ আলী আজম ঢালীর শিশু কন্যা সুরমা আক্তার (১০) সকালে প্রতিদিনের ন্যায় গ্রামের মক্তবে পড়তে যায়। এ সময় মক্তবের হুজুর ইয়াসিন তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর পূবক ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর মেয়েটির অস্বাবাবিক রক্ষক্ষরণ হতে থাকলে শিশুর আত্যচিৎকার শুনে স্থানীয়া তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সুরমার বাবা মোঃ আলী আজম ঢালী বাদী হয়ে পালং থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান মামলা তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ দিন মামলাটি পরিচালনা করার পর ডাক্তারী সনদ ও ১৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ২০০৩ সালের সংশোধনী আইনের ৯(১) ধারায় আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে নারী ও শিশু নির্ষাতন ট্রাই বুনালের বিচারক শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাজেদুল করিম আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় রায় পাঠ করার পর আসামী ইয়াসিন শিকদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামী মোঃ ইয়াসিন গোপালগঞ্জ জেলার চরভয়রা গ্রামের ওয়ালিউর রহমান শিকদারের পূত্র।

মামলার রায়ে সরকার পক্ষের কুশলী এ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী রায়ের প্রতি সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বিচারককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টিত করেছেন।

আসামী পক্ষের আবইনজীবি এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top