সকল মেনু

স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগে দোকানে আটকে নির্যাতন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দর্জির দোকানে আটকে রেখে স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আটক স্কুল ছাত্রীকে ২ ঘন্টা পর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সাতগাছি গ্রামের বিপ্লব খানের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিয়া খাতুন ঢাকায় থাকা তার বড় বোনের নিকট বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য শৈলকুপা শহরে যায়। বোনের নিকট টাকা পাঠিয়ে সে তার বন্ধুর ডাকে শৈলকুপা চৌরাস্তা মোড়ে পাইলট হাই স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোহেল নামের এক দর্জির দোকানে যায়। দোকান মালিক দর্জি সোহেল তাকে বসতে বলে কিছু সময়ের জন্য বাহিরে যায়। দোকানের বাহিরে যাওয়ার কিছু সময় পর দোকান মালিক সোহেল এসে বলে তার ক্যাশবাক্স থেকে ৭ হাজার টাকা চুরি হয়েছে প্রচার করে। পরে চুরির অপবাদ দিয়ে সাবিয়া খাতুনকে ২ঘন্টা দোকানর পাশে আরেকটি রুমে ২ ঘন্ট আটক করে রাখে। পরে জিহাদ নামের জনৈক ব্যাক্তিকে ডেকে এনে সাবিয়া খাতুনকে মারধরসহ শারীরিক ভাবে লাাঞ্চিত করে। এ ব্যাপারে সাবিয়ার পিতা বিপ্লব খান জানান, মেয়েকে আসতে বিলম্ব হওয়ায় তার ফোনে যোগাযোগ করলে অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তি সাবিয়ার ফোন রিসিভ করে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। পরে মেয়েকে আনতে গেলে সোহেল ও জিহাদ তার দোকনের ক্যাশবাক্স থেকে সাবিয়া টাকা চুরি করেছে বলে দাবি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ড হলে তারা আটক স্কুল ছাত্রী সাবিয়া খাতুনকে ছেড়ে দেয়। এদিকে সাবিয়া খাতুন জানান আমি দর্জি সোহেলের দোকানে কাপড় বানানের জন্য গেলে আমাকে বসতে দিয়ে বলে আামি আসছি। কিছু সময় পর জিহাদ নামের এক ব্যাক্তির সাথে এসে বলে আমার ক্যাশবাক্স থেকে তুমি সাত হাজার টাকা চুরি করেছ। তখন আমি এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করলে জিহাদ নামের এক ব্যাক্তি এসে আমাকে মারধরসহ শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তার কিছু সময় পর আমার পিতা এসে আমাকে উদ্ধার করে। তিনি বলেন আমি এই ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই। অপরদিকে অভিযুক্ত দোকান মালিক সোহেল দর্জির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানান, আমার কাছে এখ ন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে আমি আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিব। অপর দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শৈলকুপা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top