সকল মেনু

অবুঝ দুই শিশুকে কোলে নিয়ে থানায় অসহায় মর্জিনা

হটনিউজ ডেস্ক:

গত পাঁচ মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। বাবার আদর, ভালবাসা থেকে বঞ্চিত পাঁচ বছরের মেয়ে মরিয়ম ও দেড় বছরের ছেলে হোসাইন। দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করার পর থেকেই অবুঝ দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান স্বামী। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে যৌতুকের দাবি করে স্ত্রী, সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতো। সর্বশেষ আদালতের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে লোকজন নিয়ে গিয়ে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। তাই আইনি সহায়তা পেতে অবুঝ দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে থানায় এসেছেন অসহায় মর্জিনা বেগম।

মর্জিনা বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর থানার আড়িয়া ইউনিয়নের বামুনীয়া ফকির পাড়া গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের মেয়ে।

মর্জিনা বেগম জানান, প্রায় এক যুগ আগে প্রেম ভালবাসার সম্পর্কের জের ধরে প্রতিবেশী মৃত জনাব আলীর ছেলে ট্রাক শ্রমিক আল আমিন ফকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। দেড় বছর আগে হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তার স্বামী। এনিয়ে শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব। মাঝে মধেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী। এরই মধ্যে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে হাজেরা খাতুনকে বিয়ে করেন আল আমিন। পাঁচ মাস আগে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানেন তিনি। এর প্রতিবাদ বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। গত ৫ মাস সংসারের কোন ভরণ-পোষণ না দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান আল আমিন। মাঝে মধ্যে এসে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। গত মঙ্গলবার সকালে পোস্ট অফিসের পিয়ন এসে বলেন, ‘তোমার স্বামী তোমাকে তালাক করেছেন। তোমার নামে ৩৫ হাজার টাকা এসেছে। টাকা তুলতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে পোস্ট অফিসে এসে স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নাও।’

গতকাল বুধবার দুপুরে স্বামী আল আমিন ফকির দলবল নিয়ে এসে সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

স্বামী আল আমিন দাবি করেন, আদালতের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করা হয়েছে। কোনো নির্যাতন করা হয়নি।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top