সকল মেনু

টিকা ক্রয়, যৌথ উৎপাদন নিয়ে ফলপ্রসূ কথা হচ্ছে : চীনা রাষ্ট্রদূত

হটনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।

আজ বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) রিসার্স ডিরেক্টর ড. আব্দুর রাজ্জাক। ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিকেল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন।’

লি জিমিং জানান, চীন সরকার খুব দ্রুতই দ্বিতীয় দফায় উপহারস্বরূপ আরও টিকা পাঠাবে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে আসার নয় দিনের মাথায় চীন সরকার দ্বিতীয় দফায় উপহারস্বরূপ টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

চীন এই কার্যক্রমকে দুই দেশের মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে।

এ ছাড়া, গত ২৭ মে মন্ত্রিপরিষদ চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। চলমান জুন ও আগামী জুলাই, আগস্ট মাসের মধ্যে চীন থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে তা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।’

‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গত বছরের বাণিজ্য ছিল ১২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। এ সময় বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে ০.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ১১.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। চীনের দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’, যোগ করেন টিপু মুনশি।

সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব-উজ-জামান, বিসিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল, যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি শারমিন রিনভি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top