সকল মেনু

ছেলেকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালালেন মা!

হটনিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মায়ের ছুরিকাঘাতে ছেলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ছেলের নাম নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০)।

রবিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা ৩ নাম্বার সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত নাবিলের বাবা সগির আহমেদের ইসলামী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা।

পুলিশের ধারণা, ছেলেকে খুন করে মা নাছরিন আক্তার পালিয়ে গেছেন। নাবিল ডেমরার বক্সনগর এলাকার দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

নিহত নাবিলের বাবা সগির আহমেদ জানায়, তিনি ইসলামী ব্যাংক নারায়নগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার সকালে তিনি তার কর্মস্থলে চলে যান। রাতে যখন বাড়ি ফেরেন তখন বাসার দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে তিনি দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করলে ছেলেকে মেঝেতে পড়ে কাতরাতে দেখেন। ছেলের এই অবস্থা থেকে দ্রুত সাইবোর্ডের প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে সেখানে রাত সোয়া দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিল মারা যায়। তবে কি কারণে ছেলেকে হত্যা করলেন তার মা তা জানাতে পারেননি ছগির আহমেদ।

তিনি আরও জানান, নাবিলের মায়ের কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। মাঝে মাঝে সে অস্বাভাবিক আচরণ করতো।

তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্ত্রী ছেলেকে খুন করে কোথাও চলে গেছে।

ছগির আহমেদের গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁয়ের পৈতারগাঁও এলাকায়। সিদ্ধিরগঞ্জে পাইনাদি নতুন মহল্লায় বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।

তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি নাবিলকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করান আত্মীয়ের মধ্যে। ঈদের ৩ দিন পর নাবিলের স্ত্রী ইমা (১৮) বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সেখানেই ছিল।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানায়, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি মা নাছরিন করেছেন। তারপরেও আমরা আরও তদন্ত করছি। তার সাথে আর কেউ ছিল কিনা? কি কারণে তিনি এমন একটি নৃশংস ঘটনা ঘটালেন যে তিনি পলাতক? তাই আপাতত আমরা এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। তাকে গ্রেফতারের পর আরও বিস্তারিত জানতে পারবো। তবে নিহত নাবিলের বাবার দাবি নাছরিন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) ইমরান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নাবিলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top