সকল মেনু

ঘুষ গ্রহণের দায়ে পুলিশ কর্তার দুই বছর কারাদন্ড

mamla-281x300আদালত প্রতিবেদক :  ঘুষ গ্রহনের দায়ে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে আরও দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন। রায ঘোষনার সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায়। তার বাবার নাম জুড়ান উদ্দিন আকন্দ। এ আদালতের বিশেষ পিপি রফিকুল ইসলাম বচ্চু জানান, এই মামালার আসামি রকিবুল হাসান জামিন গিয়ে পলাতক রয়েছে। মামলার রায় ঘোষনার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পেশকার আরিফ হোসেন জানান, ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর ফেরদৌস আরা নামের এক মহিলা পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় অন্য একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পড়ে ওই থানার কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের ওপর। আসামি ধরতে তিনি মহিলার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ চাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর দুদকের কাছে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পরে আবেদনটি গ্রহণ করে দুদক। তারপরে দুদকের কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল ওই মহিলা ফেরদৌস আরাকে সঙ্গে নিয়ে ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে অবস্থান করে। ফেরদৌস আরা তার মোবাইল ফোন দিয়ে রকিবুলকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে বলেন। এর আগে দুদকের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মহিলার কাছে টাকা নিতে আসেন। যখন মহিলা রকিবের হাতে পাঁচ হাজার টাকা দেন, তখনই ওৎপেতে থাকা দুদক কর্মকর্তারা পুলিশকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।’ পরে দুদকের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন। মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top