সকল মেনু

আলফাডাঙ্গায় মধুমতির ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা

faridpur-L20130903004142ফরিদপুর প্রতিনিধি, ৩ সেপ্টেম্বর :  ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অন্তত ত্রিশটি গ্রামে ব্যপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গত এক যুগের ভাঙনে ওই সব এলাকার কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণস্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এই দুর্যোগে শেষ সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে হাজারো মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ যুগ যুগ ধরে নদী ভাঙনে মানুষ নিঃস্ব হলেও নদী শাসনে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়ীয়া, হেলেঞ্চা, গোপালপুর ইউনিয়নের দিগনগণ, আজমপুর, পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চরনারায়নদিয়া, দেউলী, চোঁদড়া, বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা, আটকবানা, দিঘলবানা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, চর কুমুটিয়া, টিটা, পানাইলসহ অন্তত ত্রিশ গ্রামে মধুমতি নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন হাজারো মানুষ।
গত কয়েকদিনের ভাঙনে কৃষ্ণপুরের একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসাসহ অন্তত দশটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অপরদিকে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে একটি মসজিদ ও শতাধিক ঘর-বাড়ি, সহস্র বিঘা ফসলী জমিসহ খোলাবাড়ীয়া গ্রামটি। এমনি ভয়াবহ চিত্র ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার অন্তত ত্রিশটি গ্রাম জুড়ে।
নদী ভাঙনের ভয়াল গর্জন আর শোরগোলে ঘুম ভাঙে এসব এলাকার মানুষের। নদী ভাঙন কবলিত এ সকল এলাকায় ভাঙনের পরোয়ানা মাথায় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি ও হেলেঞ্চা বাজারসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
বাড়ি-ঘর হারিয়ে অনেকে আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলেও কোনপ্রকার সাহায্য সহযোগীতা পায়নি কেউই। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব এলাকার মানুষ।
নদীপাড়ের মানুষের দাবি, বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেকেই রাতে না ঘুমিয়ে জেগে জেগে পাহারা দেন।
তারা জানান, গত কয়েক যুগে ক্রমেই নদী আলফাডাঙ্গা এলাকার লোকালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সকল এলাকার কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে নদী ভাঙনে শাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগ সরকারিভাবে নেয়া হয়নি।
বরং দায়সারাভাবে নদী ভাঙন রোধের নামে বরাদ্দ এনে লুটপাট হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান হটনিউজকে জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১২শ ছাড়িয়ে যাবে। এরই মধ্যে ৭শ পরিবারের তালিকা করে সাহায্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সমাধানে প্রকল্প বিবেচনাধীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top