সকল মেনু

জোড়া সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন

হটনিউজ ডেস্ক:

পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টায় উইকেটের দেখা পায়নি সফরকারীরা। বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিলেন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লাহিরু থিরিমান্নে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে অবশেষে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের করা বল ডাউন দ্য লেগে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন থিরিমান্নে। ১৪০ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। ২৯৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ১৫টি বাউন্ডারি।

থিরিমান্নের পর ব্যাটিংয়ে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকেও টিকতে দেননি তাসকিন। প্রথম সেশনে জোড়া সাফল্য এনে দিলেন ডানহাতি এই পেসার। তাসকিনের পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন তাইজুল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ চার উইকেটে ৩৩২ রান।

টেস্টের প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার এক উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে টেস্টের দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে কাল একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের ৯৭তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় তাঁর।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান করুনারত্নে ও লাহিরু। দুজনে মিলে প্রথম সেশনে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৬৬ রান।

প্রথম ঘণ্টাতেই লঙ্কান অধিনায়ককে দুবার এলবির ফাঁদে ফেলতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এরপর করুনারত্ন ও লাহিরুর জুটি ভাঙার সুযোগ এসেছিল ২০তম ওভারে। তাসকিন আহমেদের করা বল করুনারত্নের ব্যাট ছুঁয়ে তা স্লিপে যায়। কিন্তু সেখানে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি। ২৮ রানে জীবন পান শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। এ ছাড়া মিড অনেও ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল।

ওপেনিংয়ে নেমে উইকেটে থিতু হয়ে যান লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করানারত্নে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ‌১২তম সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচেও বাংলাদেশকে ভোগান তিনি। ওই টেস্টে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম।

তরুণ এই পেসারের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন করুনারত্নে। ১১৮ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। ১৯০ বলে ১৫ চারে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ভাঙে ২০৯ রানের ওপেনিং জুটি। অবশ্য জুটি ভাঙার আগে রেকর্ড হয়েছে শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ। ওপেনিংয়ে জুটিতে করুনারত্নে ও লাহিরু মিলে ভেঙেছেন ২০ বছর আগের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ২০০১ সালে। সেবার ১৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া ও মারভান আতাপাত্তু।

করুনারত্নে ফেরার পর সেঞ্চুরি তুলে নেন লাহিরুও। তাসকিনের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বল পাঠিয়ে তিনটি রান নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পর ফার্নান্দোর সঙ্গে দিনের বাকি সময় নিশ্চিন্তে পার করেন লাহিরু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top