সকল মেনু

যৌনকর্মীদের আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনন্ত বেদনা


আছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম:
 download (2)যৌন কর্মীদের আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে আছে অনন্ত বেদনা। বুকের ভেতর এক রাশ বেদনা নিয়ে ও ওদের হাসতে হয়। ওরা হাসে। হাজারো দু:খ যন্ত্রনা পাথর চাপা দিয়ে সেজেগুঁজে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলে,নিজের জন্য নয় কারো মনোরঞ্জন করে আহার জুটাতে। সেই লুকিয়ে থাকা আড়ালের বেদনার কথা গুলো বলতে বলতে চোখের জল মুছলেন সালমা। মাগুরার মেয়ে সালমা গত দু’বছর ধরে জীবনের দামে কেনা জীবিকা দিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে একটি ঘর তুলেছে। ঈদে ছোট দুটি ভাই বোনের জন্য ,মা বাবার জন্য জামা কাপড় কিনে দিয়েছে। ঈদের খরচ পাঠিয়েছে বাড়িতে। পাচঁ বছর ধরে গ্রামটা দেখা হয়না তার। গ্রামে ফেলে আসা শৈশব কৈশোরের স্মৃতি গুলো এখনও তাড়া ফিরে তার মনে। খুব ইচ্ছে হয় বাড়ি যাওয়ার। যৌন পল্লীর বন্দিজীবন আর যন্ত্রনা আড়াল রেখে হাসিখুশি আর ভালো লাগে না। খুব ইচ্ছে ছিলো এবার ঈদে বাড়ি যাবে। ভাই বোনদের সঙ্গে ঈদ করবে। তা আর হলো না সালমার। মনটা খুব খারাপ তার। বাবা ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে বাড়ি যাওয়া যাবে না। তার ঈদে বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে গ্রামের সেই লোকগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একদিন যাদের দেয়া আপবাদ মাথায় নিয়ে তার ঠাই হয়েছে যৌন পল্লীতে। রাজবাড়ির হাজেরার মনটা খুব খারাপ। বাড়িতে বৃদ্ধ মা বাবা। তাদের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছে ছিলো তার। কিন্ত তারও একই সমস্যা। হাজেরা যৌন পল্লীর বাসিন্দা বলে গ্রামে তার মা বাবাকে এক ঘরে রেখেছে সমাজপতিরা। বৃদ্ধ বাবা প্রতিমাসে একবার এসে যৌন পল্লীর দূরে দাড়িয়ে হাজেরার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। সে টাকা দিয়েই তার সংসার চলে। হাজেরার কোন ভাই নেই। তার আয়েই চলতে হয় মা বাবাকে। ফরিদপুর রথখোলা এবং দৌলত দিয়া যৌন পল্লীর অনেকের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে তাদের জীবনের ওই দু:খ যন্ত্রনার কথা। বিশেষ করে ঈদের সময় আসলে তাদের যন্ত্রনা আরো বেড়ে যায়,ঈদে বাড়ি যেতে চাইলেও বাধা আসে গ্রাম থেকে আবার বাড়িয়ালীরাও যেতে দেয় না, কারণ ঈদের সময় উপার্জন বেশী।

ঈদের সময়ে যৌনকর্মীদের খদ্দের বেশী হয় এ সময় আয় ও বাড়ে। আবার অন্যচিত্র ও আছে এখানে। যৌনকর্মীর দেহ বিক্রির টাকায় ভাগ বসায় পুলিশ স্থানীয় মাস্তান এবং তাদের বাবুরা। যৌনকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে রাতে তাদের কাছে কোন খদ্দের থাকলে পুলিশকে দিতে হয় ১২০ টাকা। কিন্ত ঈদের সময় পুলিশ নেয় ২৪০ টাকা। একজন যৌনকর্মী রাতের খদ্দেরের কাছ থেকে ভিজিট নেয় ৮শ থেকে দেড় হাজার টাকা। প্রতিটি যৌন পল্লী ঘিরে আছে মাস্তান। যৌনকর্মীদের আয়ের টাকায় ভাগ বসায় তারা। মাস্তানদের টাকা না দিলে তারা খদ্দের তাড়িয়ে দেয়। খদ্দেরকে মারধর করে। সে কারনে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয় তাদের। নানা কারনে যৌনকর্মীরা বাবু রাখে,বাবু মানে অলিখিত স্বামী। ওই বাবুরাও নানা অজুহাতে টাকা খসিয়ে নেয় যৌন কর্মীদের কাছ থেকে।

গোয়ালন্দের যৌনকর্মী আছিয়া বড় দুখ করে বললেন, ভাই গতর খাটিয়ে টাকা কামাই করি আমরা আর রাতের বেলায় সেটা দিয়ে দিতে হয় নানা জনকে। তবে এ নিয়ে কোন দুখ করি না কারণ দু:খই আমাদের জীবন।

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: চাঁদপুর- শরীয়তপুর নৌ রূটে চলাচলকারী ২টি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় গত দু তিন দিনে দু পাড়ে আটক পড়েছে শত শত পন্যবাহী যানবহন। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাঁচা পন্য। অতিসত্তর এ ঘাটে ফেরি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গাড়ি চালকরা।

জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট কস্তুরি ফেরিটি বিকল হলে এটি মেরামতের জন্যে ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। আর রবিবার করবী ফেরিটি পারাপারের সময় বিকল হয়ে পড়ে। ছোট একটি ফেরি ‘কিশোরী’ দিয়ে যানবাহন পারাপার অব্যাহত রাখা হলেও সেটিতে বড় ৪-৫টি ট্রাক উঠলে হরিণা থেকে নরসিংহপুর কিংবা নরসিংহপুর থেকে হরিণা আসতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুরের হরিণা ও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের জন্য ৩টি ফেরি দেয়। চলাচলকারী এ ৩টি ফেরির মধ্যে বড় দুটি কস্তুরী ও কবরী বিকল হয়ে পড়েছে। এ ফেরি দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ সহজ বিধায় চালকরা এ রূটে চলাচলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অতিরিক্ত গাড়ি পারাপার হওয়ায় সরকারের রাজস্ব খাতে অনেক টাকা জমা পড়েছে। অথচ বিআইডব্লিউটিসির ক’জন কর্মকর্তার খামখেয়ালীপনার কারণে ফেরিগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক হওয়া সত্ত্বেও আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top