সকল মেনু

বগুড়ায় নতুন গ্যাস সংযোগথাকায় ব্যবসায় বানিজ্যে স্থবিরতা

gasবগুড়া অফিস: বগুড়া শহরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসায় বানিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে । বগুড়া শহরে বর্তমানে আবাসিক গ্রাহক ১৫ হাজার , সিএনজি পাম্প ১৮, শিল্প সংযোগ ২৮ , বাণিজ্যিক ১০৬জন গ্রাহক রয়েছেন। সরকারী ঘোষনার পর নতুন সংযোগের জন্য নতুন সাড়ে ৫ হাজার ও পুরাতন আবেদন রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। নতুন সংযোগের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার হয়েছে আড়াই হাজার রাইজার স্থাপনের ।

আ’লীগ ক্ষমতায় আসার দেড় বছর পর অর্থ্যাৎ ২০১০ সালের ১৩ জুলাই সরকারী নির্দেশে সারাদেশে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়। এরপর ব্যবসায়ীদের মাঝে শুরু হয় হতাশা ও গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা ,ব্যবসায় বাণিজ্যে নেমে আসে স্থবিরতা । প্রায় ৩ বছর দেশবাসীর আবেদনের পর সরকার গত মে’১৩ মাসে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু পেট্রোবাংলার অন্যতম প্রতিষ্ঠান পশ্চিমান্চল গ্যাস ক্ম্পোানী লিমিটেড (পিজিসিএল) আজও গ্যাস সংযোগ দিতে পারেনি। এমনকি ঠিকাদারও নির্বাচন শেষ করতে পারেনি। তবে ঠিকাদার নির্বাচনের লক্ষ্যে গ্রহন করা দরপত্র মূল্যায়ন কাজ করছে বলে জানা গেছে। এর ফলে পিজিসিএল’র আওতাধীন বগুড়া , রাজশাহী , পাবনা , সিরাজগন্জ অন্চলের মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আবাসন খাতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়েছেন ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা। গ্যাস সংযোগ বন্ধের কারনে ফ্লাট ভাড়া বা বিক্রিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। সেই সাথে শিল্পখাতেরও সম্প্রসারন নেই।

পিজিসিএল’র আওতাধীন জেলাগুলোতে এ মূহুর্তে চাহিদা ২০ হাজারের অধিক হলেও টেন্ডার হয়েছে মাত্র ১০ হাজার রাইজার স্থাপনের । সরকারের অর্থ সংকটের কারনে চাহিদার অর্ধেক কাজের টেন্ডার হয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পিজিসিএল’র বগুড়া আন্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম বলেন , ঠিকাদার নির্বাচন হলে আবেদনকারীদের সংযোগস্থল সার্ভে করা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ ফি জমার ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হবে। এরপর ব্যাংকে ফি জমা হলে পর্যায়ক্রমে সংযোগ দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top