সকল মেনু

জুয়াড়ি স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ

হটনিউজ ডেস্ক:

জুয়া খেলার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গৃহবধূ মাসুমা আক্তার ববিতাকে শারীরিক নির্যাতন করেন পাষণ্ড স্বামী জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া বাবার বাড়ি থেকে সম্পত্তি বিক্রির টাকা এনে দেওয়ার জন্যও প্রায়ই চালানো হতো নির্যাতন। স্বামীর এই জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার (১২ মার্চ) শেরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড় যুগ আগে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের জুয়ানপুর গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে মাসুমা আক্তার ববিতার বিয়ে হয়। কিছুদিন ভালোই চলছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। এরই মধ্যে সংসারে একটি মেয়েসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে সাবরিনা নামের ওই মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।

নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, সংসারে আয়-রোজগার করার পরিবর্তে জুয়া খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকত মেয়ের জামাই জিয়াউর রহমান। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। জুয়া খেলার টাকার জন্য তার মেয়ে ববিতার ওপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। এমনকি পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে মাসখানেক আগে থেকে একমাত্র নাতনি সাবরিনা তার বাড়িতে অবস্থান করছে। সব মিলিয়ে সংসারে অশান্তি আর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ববিতা নিজ শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি। এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে স্বামী। ঘটনাটি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বসতবাড়ির একটি ঘরে ওই গৃহবধূর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি এই গৃহবধূর মৃত্যু কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্য মামলা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top