সকল মেনু

জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে


অনলাইন ডেস্ক

জোরপূর্বক দেহব্যবসা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় বিউটি পার্লারের ওই কর্মী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীসহ দুজনকে আসামী করে মামলা করেছেন ওই নারী। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর রোজী পলাতক রয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত নুরুল হক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বাসন থানায় মামলাটি করেন ওই নারী।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী (৪০) ও নগরীর গ্রেটওয়াল সিটির মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নূরুল হক (৬৫)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তায় রহমান শপিংমলে তার পরিচালিত আনন্দ বিউটি পার্লারে তাকে চাকরি দেন। কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে নিয়ে তাকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হয়। পাশাপাশি তাকে কাজের মেয়ের পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ঘরে বিভিন্ন ধরণের কাজ করানো হতো। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়া হতো।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় ওই ফ্ল্যাটে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করানো হতো। একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজ করতে বাধ্য করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়ে এসে বাসন মেট্রো থানায় মামলা করেন ওই নারী।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাসন মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক। তিনি জানান, ওই কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। গাজীপুরে কোনো স্বজন না থাকায় অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসায় থাকত।

এ বিষয়ে জানতে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top