সকল মেনু

চসিকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

হটনিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন বানচালে বিএনপির অপপ্রয়াসকে ভন্ডুল করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনি মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তা তাদের আমলেও তারা পায়নি।

বুধবার বিকালে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটকেন্দ্র প্রবেশ করতে না-দেওয়া, এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সব সময়ই এ ধরনের অভিযোগ করে থাকে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওর মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চিত্র জনগণের সামনে ফুটে উঠেছে। তারা ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতাও মূলত ছিল না। নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে ও গণরায়কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরীর জনগণ অতীতে কখনোই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয়নি। চট্টগ্রামে শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী মুঞ্জুরুল নির্বাচিত হলেও মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে ধার করে তাকে প্রার্থী করেছিল।

ভোটার উপস্থিতি কমও হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনগুলোয় করোনা মহামারিজনিত শঙ্কা কাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। তবে চট্টগ্রাম অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মহানগরী। এখানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস-আদালত রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে মহানগরীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা না-করা এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোটার উপস্থিতি ধারাবাহিক প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কিছু সহিংস ঘটনার কারণেও ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। এরপরও আমরা বলব, চসিক নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক ছিল।

তিনি বলেন, শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীই নয়, মেয়র পদে বিএনপির নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও ভোটার উপস্থিত কম হওয়ার জন্য দায়ী। নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় কেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের তারা বের করে দেয়। পাথরঘাটায় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী কর্তৃক ইভিএম মেশিন ভাঙা হয়। কেন্দ্র দখল হয়। এবং এনায়েত বাজারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় সহিংস কার্যকলাপের মাধ্যমে বিএনপি সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। বরাবরের মতো বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং দায়ভার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।

এ সময় তিনি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চট্টগ্রামের সব ভোটার, জনসাধারণ ও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top