সকল মেনু

ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বেচতে গিয়ে দুলাভাই ধরা

হটনিউজ ডেস্ক:

নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টাকালে তাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চাচাতো দুলাভাইকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

আটক দুলাভাইয়ের নাম মাসুদ ফকির (২৭)। মাসুদ জেলার কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর বাওইখোলা গ্রামের আব্দুর জলিল ফকিরের ছেলে। শনিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। এদিকে মূল অভিযুক্ত মাসুদ ফকিরকে আটক এবং ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী কালুখালীর জনৈক সানি নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি রাতে ওই স্কুলছাত্রীর চাচাতো দুলাভাই মাসুদ ফকির তার বাড়িতে গিয়ে সানির সাথে দেখা করিয়ে দেবার কথা বলে কালুখালী রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে সামুদ বলে, সানি গোয়ালন্দ ঘাট (দৌলতদিয়া) রেলওয়ে স্টেশনে আছে। পরবর্তীতে মাহেন্দ্রা যোগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক নম্বর গেটের সামনে নিয়ে গেলে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি এসে মাসুদ ফকিরের সাথে কথা বলে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মাসুদ ফকিরকে কিছু টাকা দেয়। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পতিতাপল্লীর ভেতর রওনা হয়। কিছু দূর যাবার পর পল্লীর মেয়েদের দেখে স্কুলছাত্রীর সন্দেহ হয় এবং তখন সে ভেতরে যেতে আপত্তি করে। সে সময় জোরপূর্বক ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রীটি চিৎকার করে। তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ও মাসুদ ফকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কালুখালীর এক স্কুলছাত্রীকে কৌশলে তার চাচাতো দুলাভাই বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করে। সে সময় স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে আটক ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top