রাজবাড়ি প্রতিনিধি,হটনিউজ২৪বিডি.কম:পদ্মায় নাব্যতা সঙ্কটে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ফেরি
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পদ্মা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে প্রতিদিনই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে ফেরি। এতে মাঝ নদীতে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রীদের ভোগান্তি শিকার হতে হয়।
তবে সমস্যা নিরসনে ওই চ্যানেলের গভীরতা তৈরিতে মঙ্গলবার থেকে খনন কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ উপলেক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি প্রতিনিধি দল দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ঝুঁকিপূর্ণ ওই চ্যানেলটি পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আতাহার আলী সরদার, নির্বাহী প্রকৌশলী তারিকুল হাসান ও গোলাম মোহাম্মদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে এক হাজার আটশ ফুট দৈর্ঘ্য, দেড়শ ফুট প্রস্থ এবং ১১ ফুট গভীর করে একটি বিকল্প চ্যানেল তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। পলি অপসারণের কাজ করছে ১৩৮ ও ১৩৯ নামের দুটি খনন যন্ত্র (ড্রেজার)। আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যেই এ চ্যানেলের কাজ শেষ হবে জানা গেছে।
খান জাহান আলী ফেরির চালক কেফায়েত উল্লাহ হটনিউজকে বলেন, ‘অস্বাভাবিক ভাবে পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় চরম নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ফেরি চালাতে হচ্ছে। ডুবোচরে আটকা পড়ার আতঙ্কে অর্ধ বোঝাই করে নদী পাড়ি দিচ্ছি।’
নদীর পানি কমে যাওয়া ও স্রোতের তোড়ে পলি ও বালি পড়ে দৌলতদিয়া প্রান্তের মূল চ্যানেলের গভীরতা হয়েছে মাত্র সাড়ে সাত ফুট। একটি রো রো ফেরিকে সম্পূর্ণ বোঝাই করে চলার জন্য কমপক্ষে ৮ ফুট গভীরতা প্রয়োজন। নাব্যতা কমে যাওয়ায় গত কয়েকদিনে দৌলতদিয়া ২ ও ৩ নম্বর ঘাটের কাছে কয়েকটি ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ছে। দীর্ঘ সময় ফেরিতে যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ নৌপথে যাতায়াতকারী যানবাহনের যাত্রীরা। এতে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা গাড়িরও দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার দৌলতদিয়া কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান হটনিউজকে জানান, নাবত্যা সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নতুন চ্যানেল চালু হলে ফেরি চলাচল আগে অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে সোমবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চ্যানেলে আটকা পড়েছিল রো রো ফেরি আমানত শাহ পাটুরিয়া থেকে আসার সময় দৌলতদিয়া চ্যানেলে আটকা পড়ে। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা চেষ্টা করে ফেরিটি উদ্ধার করে ইনল্যান্ড ট্রাক ৩৮৯। এর আগে রোববার রাতে আটকা পড়ার ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় রো রো ফেরি কেরামত আলী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আতাহার আলী সরদার নৌ চ্যানেল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘নতুন চ্যানেলটি দ্রুত খনন করে চালু করা গেলেই ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।