সকল মেনু

মাদকের মামলায় বিচারকের চার বছর কারাদন্ড

download (10)আদালত প্রতিবেদক:ফেনসিডিলের মামলায় ভোলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ (বরখাস্ত) জাভেদ ইমামকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ রুহুল আমিন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন। বিচারকের আইনজীবী গোপাল চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আসামি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পিপি এস এম জাহিদ সরদার সাংবাদকিদের বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, এ মামলায় বিচারককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড করবে আদালত। রায়ে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে ফেনসিডিল বহনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড  করা হলো। একইসঙ্গে আসামিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হলো। রায়ে আরও বলা হয়, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্থা কেউ মাদকের পরিমাণ কেজি হিসেবে কত তা উল্লেখ করেননি। আইনে শাস্তি বিবৃত করা হয়েছে কেজি হিসেবে। গত ১লা ডিসেম্বর রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন ইডেন কলেজের সামনে ৩৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে বিচারক জাভেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাইক্রোবাসে করে যশোর থেকে এ ফেনসিডিল আনা হয়েছিল। বিচারকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) টেবিল ৩(খ) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড তবে মাদকের পরিমাণ হতে হবে দুই কেজির ওপরে। বিচারক জাভেদের বহন করা ৩৪২ বোতল ফেনসিডিলের পরিমাণ হয়েছে ৬৮ হাজার ৪০০ মি.গ্রাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। তিনি বিচারক জাভেদেও আদালতে বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জাভেদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হওয়ার পর তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারক জাভেদ জামিনে মুক্ত হন। জাবেদ ২০০৮ সালের ২২ মে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার পর কুষ্টিয়া ও পরে যশোরের আদালতে কর্মরত ছিলেন। জাবেদ ইমামের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। গ্রামের নাম আন্দুলিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top