সকল মেনু

সাক্ষ্য দিলেন আরোও তিন জন

download (9)আদালত প্রতিবেদক:পুরান ঢাকার দর্জি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল চকিৎসকসহ তিন জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরা হলেন সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাকসুদ, বাদাম বিক্রেতা মো. মোতালেব ও মো. আজিজ। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১লা সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পানের দোকানদার মোতালেব তার জবানবন্দিতে বলেন বলেন, ‘ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল নয় টার দিকে আমি ভিক্টোরিয়া পার্কের উত্তর পার্শ্বে অবস্থান করছিলাম। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। এ সময় একি বোম বিস্ফোরিত হয়। আমার গায়ে বোমের স্পিøন্টার লাগে। পরে আমি এলাকা ত্যাগ করি। ওই দিন বিকেলে সংবাদ শুনি, বিশ্বজিৎ নামের একটি ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’ চিকিৎসক ডা. মো. মাকসুদ আদালতকে বলেন, ‘ বিশ্বজিৎ এর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি মারা যান। কারাগারে থাকা আট আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর পলাতক রয়েছেন ১৩ আসামি। এর আগে গত ১৪ জুলাই এ মামলার বাদী সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ২১ আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার কর্মী। এ মামলায় ১৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। গত ৫ মার্চ এ হত্যা মামাটিতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক তাজুল ইসলাম। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন নীরিহ দর্জি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top