সকল মেনু

পাচারের ৩ বছর পর দেশে ফিরেছে ২ শিশু

Sati &  Kaisar রিপন হোসেন, যশোর থেকে :ভারতে পাচার হওয়ার ৩ বছর পর দেশে ফিরেছেসাথী ও কায়সার খাতুন নামের ২ শিশু। বিকেলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচারের শিকার শিশু ২টিকে পেট্টাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বেনাপোল চেকপোষ্টে পুশব্যাক করে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ শিমু ২টিকে আটকের পর বেসরকারী মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের মাধ্যমে সেফ হোমে পাঠায়। রাইটস যশোরের পক্ষে তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান ভারত ফেরত শিশু ২টিকে গ্রহণ করেন। তিনি জানান, ৩ বছর আগে খুলনার দিঘলিয়া থানার চন্দনী মহল এলাকার হাবিব শিকদারের মেয়ে সাথী খাতুন (১৪) ও কক্সবাজারের ভেকুটিয়া উপজেলার টয় টং কাচারী পাড়ার নুরুল হকের মেয়ে কায়সার খাতুনকে পাচারকারীরা কৌশলে ভারতে পাচার করে। সেখানে ৩ বছর দূর্বিসহ জীবন কাটানোর পর তারা ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে সেফ হোমে আশ্রয় পায়। পরে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতকাল তাদেরকে দেশে ফেরৎ আনা হয়। রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ভারতীয পুলিশকে কনভিন্স করে পুশব্যাকের মাধ্যমে এসব পাচারের শিকার নারী ও শিশুদের দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

দেশে ফেরত আসা কায়সার খাতুন বলেন, ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় এক দিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক দিদি তাকে বেড়ানোর নাম করে ভারতে নিয়ে যায় এবং সেখানকার এক বাড়িতে রেখে চলে যায়। এর পর থেকে সে ওই বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতো। দেশে ফেরার জন্য সে অনেক কান্নাকাটি করেছ্ কিন্তু তাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে যায়নি। এক পর্যায়ে সে ওই বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পথে পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাকে একটি শেল্টার হোমে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে বেশ কিছু দিন থাকার পুলিশ গতকাল তাকে দেশে ফেরত পাঠায়।

সাথী খাতুন জানায়, অভাবের কারনে তার লেখা পড়া হয়নি। এক দিন বাড়ির বাইরে খেলা করার সময় প্রতিবেশী ইদ্রিসের স্ত্রী মরিয়ম বেগম তাকে বেড়ানোর নাম করে ভারতে পাচার করে দেয়। সেখানকার একটি বাড়িতে তাকে রান্না বান্না ও ঘরের কাজ করতে হতো। একদিন খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একটি শেল্টার হোমে রেখে দেয়। সেখানে ২ বছর থাকার পর গতকাল সকালে পুলিশ তাকেসহ কায়সার খাতুনকে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলে নিয়ে আসে। প্রায় ৫ ঘন্টা জার্নির পর বিকেল ৫টার দিকে ভারতের পেট্টাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলে পাঠিয়ে দেয়। তারা কাঁন্নাকাটি করতে করতে বলে তারা দ্রুত তাদের বাপ মায়ের কাছে যেতে চায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top