সকল মেনু

সাংসদ রনিকে প্রধান আসামী করে গলাচিপা থানার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ

imagesনিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৭ আগষ্ট :পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সাংসদ গোলাম মাওলা রনিকে প্রধান আসামী করে তাঁর শ্যালক গলাচিপার ডাকুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. মকবুল খানসহ সাংসদের ভাইয়া বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার জামিন আবেদন আজ মঙ্গলবার দপুরে খারিজ করে দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম। এর আগে গত ২০ আগষ্ট পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন করে সাংসদর রনির পক্ষে। আদালত ঐ সময় তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে। এরও আগে ১৮ আগষ্ট পটুয়াখালী ‘ক’ অঞ্চলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তপন রায়ের আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে। উল্লেখ্য, গত ১১ আগষ্ট রোববার রাতে মামলা দুটি গলাচিপা থানায় দায়ের করা হয়। মামলা নং-১০ ও ১১, তারিখ ঃ ১১-০৮-১৩।

মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১০ সালের সালের ১৭ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করার দাবিতে গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাবেশে সাংসদ রনির নেতৃত্বে তার ক্যাডারা হামলা করে লোকজনকে জখম করা, দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুটতরাজের অভিযোগে মো. সামসুজ্জামান লিকন একটি মামলা করেন। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪২ জনকে আসামী করা হয়।

অপর মামলাটি করেন উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের মো. বদরুল ইসলাম খান। বদরুল ইসলাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১২ সালে ২৫ মার্চ তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সাংসদ রনির নেতৃত্বে মো. মকবুল খানসহ আসামীরা তাঁর ওপর হামলা করে। এ সময় তার পকেট থেকে নগদ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। সাংসদ রনি এ সময় বদরুলের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে রাখেন। মামলাটিতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৯ জনকে আসামী করা হয়।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top