সকল মেনু

সদরপুরে ১২ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ

হটনিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় গোপনে ১২ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন ৬০ বছরের এক ব্যক্তি। পরে তাঁরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। বাল্যবিবাহের এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ব্যক্তি, কিশোরীর মা, নানা ও নানিকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল–জরিমানা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে সদরপুর সদরে এ ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার ওই দণ্ড দেন।

দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ফকির এবং সদরপুর সদরের খবির তালুকদার, হালিমুন নেছা ও ফাতেমা বেগম।

নতুন জামাতা হিসেবে মোহাম্মদ ফকির গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরীর বাড়িতে যান। তখন মেয়েটির অন্য স্বজন ও প্রতিবেশী তাঁকে আটক করে ইউএনওর কাছে খবর দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। গত ২০ অক্টোবর গোপনে মোহাম্মদ ফকিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়েটি নিবন্ধন না করে তাঁরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। বাল্যবিবাহের এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাধা দেন। তবে মেয়েটির মা ফাতেমা এবং নানা খবির ও নানি হালিমুনের সহায়তায় এ বিয়ে হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে নতুন জামাতা হিসেবে মোহাম্মদ ফকির কিশোরীর বাড়িতে যান। তখন মেয়েটির অন্য স্বজন ও প্রতিবেশী তাঁকে আটক করে ইউএনওর কাছে খবর দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউএনও পূরবী গোলদার সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত মোহাম্মদ ফকিরকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফাতেমাকে ৬ মাস এবং খবির ও হালিমুনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জানতে চাইলে ইউএনও পূরবী গোলদার আজ শনিবার বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর বিভিন্ন ধারায় এই শাস্তি দেওয়া হয়। দণ্ডিত ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top