সকল মেনু

তিন নাটক আর শরৎ উৎসবে প্রথম দিনেই মুখর শিল্পকলা

৭ মাস ৫ দিন পর আলোয় উদ্ভাসিত হলো নাটক ও সংস্কৃতিচর্চার মঞ্চগুলো। খুললো রাজধানীর সংস্কৃতিচর্চার সূতিকাগার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। নাট্যকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে শুক্রবার খুলে দেয়া হয়েছে একাডেমির সবগুলো মিলনায়তন।

খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হল পেয়েছে প্রাণ। তিনটি মিলনায়তনেই ছিল নাটক। নাট্যকর্মীদের সংলাপ আর অভিনয়শৈলীর নান্দনিক আবহে মেতে উঠে মিলনায়তনগুলো। আর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ছিল শরৎ উৎসব। উৎসবের রঙে প্রাণের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে একাডেমি প্রাঙ্গণজুড়ে।

হেমন্তে এসেও শরতের বৃষ্টি মঞ্চে নাটক দেখা ও অনুষ্ঠান উপভোগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ছুটির দিনে সাংস্কৃতিক অঙ্গণে নেমে আসে আনন্দের ফল্গুধারা। শিল্পী ও দর্শকদের কোলাহলে মুখর হয়ে ওঠে ছুটির দিনের সন্ধ্যাটি।

সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় পালাকারের নাটক ‘উজানে মৃত্যু’। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন শামীম সাগর। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় জাগরণী থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘রাজার চিঠি’। রবীন্দ্রনাথের শাহজাদপুরের স্মৃতিধন্য কাহিনী নিয়ে নাটকটি রচনা করেছেন মাহফুজা হিলালী আর নির্দেশনা দিয়েছেন দেবাশীষ ঘোষ। স্টুডিও থিয়েটার হলে শুরু হয়েছে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা একেএ কবীরের স্মরণে দুই দিনব্যাপী স্মরণানুষ্ঠান। দলের নিজস্ব প্রযোজনার নাটক ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’, মৈত্রী থিয়েটারের ‘চা অথবা কফি’, উৎস নাট্যদলের ‘পতাকায় বঙ্গবন্ধু’ এই তিনটি নাটকের অংশবিশেষসহ এই উৎসবে আরও থাকছে গান, কবিতা ও স্মৃতিচারণ।

বিকেলে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে বিকেলে একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শরৎ উৎসবের আয়োজন করে সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী। অসিত বিশ্বাসের এস্রাজ বাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শরত নিয়ে হেমন্তকালের এই আয়োজন। রবীন্দ্রনাথ,নজরুল, রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, দেশাত্মবোধক গান, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য দিয়ে সাজানো ছিল শরৎ উৎসব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সুরের মূর্চ্ছনা, নৃত্যের ঝংকার ও আবৃত্তির দীপ্ত উচ্চারণে হৈমন্তী সন্ধ্যায়ও গোটা মিলনায়তনে মূর্ত হয়ে উঠে শারদীয় আবহ।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশে নাট্য প্রদর্শনী বন্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আপাতত দুই দিন শুক্র ও শনিবার নাট্য প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠান করা যাবে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনগুলোতে। দর্শকদের টিকেট অথবা আমন্ত্রণপত্র দেখাতে হবে প্রবেশপথে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top