সকল মেনু

চাকরির প্রলোভনে ৯ মাস ধরে ধর্ষণ! ভয় দেখিয়ে নেয়া হলো স্ট্যাম্পে সই

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২৫) ৯ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষণ ও প্রতারণার শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দুই আসামি হচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম (৬৫) ও তার ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫)। অভিযোগ পাওয়ার পর মামলার প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বিকালে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আমানতপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ আট থেকে নয় মাস ধরে নোয়াখালী এবং ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে একাধিক বার শারীরিক মিলন করে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে কোনো চাকরি বা বিয়ে করেনি। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম নানা তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান ভয়ভীতি দেখিয়ে তরুণীর কাছ থেকে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে গত ৮ থেকে ৯ মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান মেয়েটির কাছ থেকে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিকালে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ছেলেকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top