সকল মেনু

গার্মেন্ট শ্রমিককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ

গাজীপুর মহানগরীতে সহকর্মীকে বেঁধে রেখে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন জন। ওই নারী শ্রমিক রাতের শিফটের ডিউটি শেষে সহকর্মীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। বুধবার মধ্য রাতে কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ওই শ্রমিকের সহকর্মীরা কাশিমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আটককৃতরা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার গোবরকুড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম (২৮), কাশিমপুরের হাজী মার্কেট এলাকার আলী হোসেনের ছেলে নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন (৩৫) ও আবদুল আলীমের ছেলে দিনমজুর বাইজিদ হোসেন (২৭)। এলাকায় তারা নানা অপরাধের সাথে জড়িত।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, সারদাগঞ্জ এলাকার আরব ফ্যাশনের ওই শ্রমিক (২২) স্বামীর সঙ্গে সারদাগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকেন। রাতের শিফটের ডিউটি শেষে বুধবার রাত দেড়টার দিকে কারখানার কাটিং সুপারভাইজারের সাথে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ওই তিনজন সহকর্মীকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে নারী শ্রমিককে তুলে স্কয়ার গেট এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা পালাক্রমে নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে ফেলে চলে যায়। রাত তিনটার দিকে বাসায় ফিরে তিনি পরিবারকে ঘটনা জানায়। অপরদিকে পথচারীরা বেঁধে রাখা কাটিং মাস্টারকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় সকালে নির্যাতিতা কাশিমপুর থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানাজানি হলে সহকর্মীরা সকাল ১০টার দিকে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিকে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।

নির্যাতিতা নারী জানান, টাকা ম্যানেজ করার আগেই ওই তিন যুবক জোরপূবর্ক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা জানান, পথচারীর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে পুলিশ ঘটনা জানতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভূক্তভোগী নারী শ্রমিককে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top