সকল মেনু

ফরিদপুরের সালথায় পাটের ন্যায্য মুল্য না পেয়ে হতাশ কৃষকেরা

Jute-Golden-Fiber-03Oct2011ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথা উপজেলার প্রধান ফসল সেনালী আঁশ পাটের ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় এবারও পাট চাষে লোকসান গুণছেন কৃষকেরা। পাট চাষে বিঘা প্রতি কমপক্ষে দুই হাজার টাকা লোকসান যাচ্ছে তাদের। গত বছরও পাট চাষে লাভের মুখ দেখেনি তারা। এ কারণে আগামীতে পাট চাষের পরিমান কমে যেতে পারে বলে ধারনা করছে কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১০ হাজার ১৭শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়। কিন্তু উপজেলায় মোট ১১ হাজার ১৭শ’ ৩৬ হেক্টর জমিতে এবার পাট চাষ হলেও পাটের যে দাম পাচ্ছে চাষিরা তাতে আগামী বছর কৃষি অফিসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত সাপ্তাহে মণপ্রতি পাট ছিল ১৪ থেকে ১৬শ’ টাকা। সিন্ডিকেটের কারণে পাটের বাজার ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাওয়ায় বর্তমানে ১ মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৩শ’ টাকা দরে। এক্ষেত্রে প্রসাশনের কোন নজরদারি নেই। ফলে বিপাকে পড়েছে পাটচাষিরা। গত বৃস্পতিবার স্থানীয় বড় হাট সালথা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভালো মানের এক মণ পাট বিক্রি ১৪শ’ টাকা। ৫ মণ পাট নিয়ে বাজারে আসেন আকরাম মিয়া নামে এক কৃষক, তিনি ২-৩ ঘন্টা বাজারে ঘুরতে থাকেন পাট বিক্রি করার জন্য। আকরাম বলেন, আমি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্যানে করে পাট নিয়ে ঘুরছি। কেউ পাট কিনতে চায় না। ব্যবসায়ীরা অন্যন্য বছর পাটের ভ্যান দেখলেই টানা হেঁচরা শুরু করে দিতেন কেনার জন্য।

উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের পাট চাষি মিলন মিয়া বলেন, জমি তৈরী, বীজ, পাট বপন, আগছা নিধন, পাট কাটা, জাগ দেয়া, ধোয়া সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হয় সাড়ে ৯ হাজার টাকা। এই ১ বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ। যা বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না। যে হারে পাটের দাম কমছে তাতে পাট গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top