সকল মেনু

হাজারীবাগে ৩ সন্তান নিয়ে স্বামীকে হত্যা করল স্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর হাজারীবাগে ৩ সন্তান নিয়ে স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন স্ত্রী। নিহতের নাম লাল মিয়া (৪৫)। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ বসিলায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সোমবার দিবাগত রাতে খিলক্ষেতে জনি মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার পর বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে গায়ে বেকু উঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হাজারীবাগে নিহত লাল মিয়ার ছোট ভাই শহর আলী জানান, দক্ষিণ বসিলা ব্রিজের পাশে তাদের নিজেদের বাড়ি। লাল মিয়া তিনতলা বাড়ির ২য় তলায় স্ত্রী আরজুদা বেগমকে নিয়ে থাকতেন। আর তিন ছেলে জহিরুল ইসলাম, সাজ্জাদুল ও মিলন ওই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটে থাকে। ৭-৮ মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে তালাক দেন লাল মিয়া। প্রায়ই স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে লাল মিয়ার ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার দুপুরেও ঝগড়া বাধলে তিন ছেলে লাল মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ সময় তাদের মা দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেন। পরে লাল মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাজারীবাগ থানার ওসি সাজেদুর রহমান বলেন, কয়েক মাস আগে লাল মিয়া বোনের অংশের ফ্ল্যাটটি কিনে নেন। এ নিয়ে আরজুদা বেগমের সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকত। গতকাল লাল মিয়া আরজুদাকে বলেন, তিনি আরেকটি বিয়ে করে অন্য ফ্ল্যাটে থাকবেন। এ কথার পর আরজুদা তিন সন্তান নিয়ে স্বামীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে তাদের তালাকের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে আরজুদা ও তার তিন ছেলে পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

খিলক্ষেতে নিহত জনি মিয়ার বাবা জাইদুল মিয়া জানান, জনি মাসখানেক আগে বিয়ে করেছে। স্ত্রী লিমা আক্তারকে নিয়ে খিলক্ষেত এলাকায় থাকত। ১৫ দিন আগে ওখানকার দুলাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বালুর গদির ম্যানেজার হিসেবে চাকরি নেয়। তার কাজ ছিল বেকু দিয়ে ট্রাকে বালু ওঠানো। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় জনি কাজে যায়। রাত তিনটার দিকে একজন বাসায় এসে জানায়, জনি এক্সিডেন্ট করেছে। সেখানে গিয়ে জনিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। বালু ওঠানোর কাজে নিয়োজিত অন্যরা জানায়, জনির ডান চোখে ও কপালে বেকুর আঘাত লেগেছে। এতে সে মারা গেছে। নিহতের বাবার অভিযোগ, জনির সঙ্গে বালু ব্যবসায়ী দুলাল, রাকিব, আব্বাস ও আরিফের শত্রুতা ছিল। সেই জের ধরে এরাই জনিকে হত্যা করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে তার ওপর দিয়ে বেকু উঠিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। খিলক্ষেত থানার এসআই আবদুর রহিম জানান, এ ঘটনায় পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি। নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top