সকল মেনু

পরীক্ষা দিতে না পারায় এলাকায় অভিভাবকদের তোলপাড়

Picture-01 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার দেবালয় সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়টি সু-দক্ষ ব্যবস্থাপনা কমিটির তত্বাবধানে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু প্রায় দেড় বছর থেকে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক শ্রী সোমনাথ চক্রবর্ত্তি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিয়োমিত ভাবে বিদ্যালয়ে না এসে তার ইচ্ছা মত আসা যাওয়ার মাধ্যমে হাজিরা খাতায় দস্তখত করে চলে যায়। তার দেখাদেখি অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরাও নিজের ইচ্ছে মত স্কুলে যাওয়া আসার শুর করে বলে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা জানান। ফলে বিদ্যালয়টি লেখাপড়ার মান শূণ্যের কোঠায় গিয়ে দাড়ায়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। গত ২০-০৮-২০১৩ হতে ২২-০৮-১৩ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ শাহান বেগম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে। শাহানা বেগমের দায়িত্ব পালন কালীন ২২-০৮-২০১৩ ইং ২য় সামায়িক অংক পরীক্ষা চলছিল। প্রথম ও ২য় শ্রেণীর প্রথম শিফটের অংক পরীক্ষা শেষে করে সহকারী শিক্ষক মোঃ আনারুল হক ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসে যায়। এদিকে ৩য়. ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা বেলা ২টা বাজার পরও শুরু না করায় অনেক ছাত্র ছাত্রী বাড়ীতে গিয়ে তাদের অভিভাবককে বিষয়টি অবগত করিলে অভিভাবকরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে মোবাইলে জানান (যদিও বা তিনি ছুটিতে)। তখন প্রধান শিক্ষক ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মোবইলে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার কথা বললে, বেলা ২টা ২০ মিনিটে পরীক্ষা শুরু করা হয় এবং ২০ মিনিট পরই বাচ্চাদের কাছ থেকে খাতা জমা নিয়ে তাড়াহুরা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়ীতে চলে যায়। এ নিয়ে অভিভাবক ও বাচ্চাদের সাথে কথা বললে তারা এ সত্যতা স্বিকার করেন। এ প্রতিবেদকের সাথে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, যে হেতু সহ শিক্ষক অনারুল হক অংক বিষয় নেন তাই তিনি না থাকায় আমরা ২টা ২০ মিনিটে পরীক্ষার খাতা জামা নিয়ে বাড়ী চলে যাই। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আনোয়ারুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি প্রথম শিফট পরীক্ষা শেষ করে অফিসের কাজে রাজারহাট চলে তাই ২য় শিফটের পরীক্ষার বিষয়ে কিছু জানি না। ঘটনার এখানেই শেষ নয় গত ইংরেজি পরীক্ষার দিন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী রোকছানা জানান, প্রশ্ন পত্র না থাকায় আমি ইংরেজি পরীক্ষা দিতে পারি নাই। এ নিয়ে শাহানা মেডামকে বললে তিনি বলেন, প্রশ্ন নাই পরীক্ষা দিলে দাও না নইলে বাড়ী চলে যাও। তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ী চলে যাই। এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোবাইলে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যায়টির ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে এলাকা বাসীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ দন্দ্ব চলে আসছে। কিন্তু পরীক্ষা বিলম্বে নেয়ার বিয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রশাসন যদি দ্রুত দায়িত্বে অবহেলা কারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে যে কোন সময় বিদ্যালয়ে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আছে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top