সকল মেনু

ঢাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত

DU-sm20130824065328ঢা,বি,প্রতিনিধি,হটনিউজ২৪বিডি.কম ঢাকা:  বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকদের বর্জনের মুখে এবং সিনেটের ১০৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র ৩৬ জনের উপস্থিতিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি)তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশেষ সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্যানেলে রয়েছেন- বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ ও অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট এ প্যানেল থেকে একজনকে উপাচার্য নিয়োগ দেবেন।

অধিবেশন সূত্র জানায়, অধিবেশনে ১০৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র ৩৬ জন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে সদস্যপদ থাকা ৫০জনের মধ্যে ১৪জন অনুপস্থিত ছিলেন। ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন অধিবেশন বর্জন করা সাদাদলের ৮ জন, নীলদলের ৩জন ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনজন।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিনেট অধিবেশন শুরু হয়।

সভায় সিনেট সদস্য ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ তিনজনের নাম প্রস্তাব করেন এবং সমর্থন করেন সিনেট সদস্য ও নীলদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।পরে সর্বসম্মতিতে প্যানেলটি
গ্রহণ করা হয় বলে জানান সিনেট সদস্য ও নীলদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। পাঠ করা হয় ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে এবং শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এদিকে রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়ার আগে সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দেওয়ায় সিনেট অধিবেশন বর্জন করেন সাদা দলের সদস্যরা। অধিবেশন শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগ থেকে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সদরুল আমিন কর্মসূচির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, শুধু কোরাম পূর্ণ করলেই হবে না। ১০৫ সদস্যের পরিপূর্ণ সিনেটেই হওয়ার কথা উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন। শিক্ষক প্রতিনিধি এবং রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদেরকে সিনেটের মেইন কমপোনেন্ট। রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তা শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন দেওয়া অনৈতিক। এটাকে বেআইনি হিসেবেও অভিহিত করেন সাদা দলের শিক্ষকরা।

এর জবাবে ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব সদস্যকে নিয়েই সিনেট, আলাদা আলাদাভাবে ভাগ করার সুযোগ নেই।’

অন্যদিকে হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরেও সাদা দলের কর্মসূচি পরষ্পর সাংঘর্ষিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন নীলদলের অন্যতম সিনেট সদস্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটের পাঁচ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে অধিবেশন চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top