সকল মেনু

বৈদ্যালি শেখানোর কথা বলে দুই মেয়েকে ধর্ষণ পিতার

হটনিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের পেকুয়ার পূর্ব টৈটং সোনাইছড়িতে জন্মদাতা পিতা শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্যের হাতে দুই কন্যা সন্তান ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভিকটিম দুই মেয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা হয়েছে।
ভিকটিমের সতীন কাউছারা বেগম (৩৩) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৩১ আগস্ট ও এক সেপ্টেম্বর নিজের বাড়ির পাশে সেমিপাকা বৈদ্যালির আসন ঘরে রেখে বৈদ্যালি শেখানোর নামে নির্লজ্জ ঘটনাটি ঘটানো হয় বলে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্য পেকুয়ার পূর্ব টৈটং সোনাইছড়ি রমিজ পাড়ার মৃত নুরুল আনোয়ার প্রকাশ টুনু মিয়ার ছেলে।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী বৈদ্যালির নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। ইতোপূর্বে তার দুইটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাকে জাদু টোনার মাধ্যমে বশে এনে বিয়ে করে। নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে স্বামী শফিক বৈদ্য। কাউছারা বেগমের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
তার অভিযোগ, তার স্বামীর চরিত্র বালা না। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী শওকত আরা দুই সন্তানসহ বাঁশখালীতে পালিয়ে যায়। প্রথম স্ত্রীসহ তারা দুইজন অতি কষ্টে মাঝে সাংসারিক দিন পার করছিলেন। ভিকটিমরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে সন্তান। তারা স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার মতে, স্বামী শফিক বৈদ্য দুশ্চরিত্রের বলেই নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ এবং আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী ও ভিকটিমদেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত শফিক বৈদ্য। তারা এখন ঘরছাড়া। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ অভিযোগ করেন বাদী কাউছারা বেগম।
অভিযোগ শুনানি শেষে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক জেবুন্নাহার আয়েশা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা।

তিনি জানান, নিজের দুই মেয়ে সন্তানকে বৈদ্যালি শেখানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছে পিতা৷ এ ঘটনায় মামলা করেছেন ছোট স্ত্রী কাউছারা বেগম। মামলার পর দুই ভিকটিমসহ নিজের সন্তানদের নিয়ে এলাকাছাড়া তিনি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল গিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তবে বিষয়টি জটিল বলেও মন্তব্য করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top