সকল মেনু

পেঁয়াজ আমদানি শুরু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে

হটনিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। মিয়ানমার, পাকিস্তান ও দুবাই থেকে আমদানি করা পৃথক তিনটি চালানে ১৩ কনটেইনারে ৩৭৩ টন পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আমদানির অপেক্ষায় আছে আরও প্রায় দেড় লাখ টন। এসব পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছলে সংকট থাকবে না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র জানায়, বন্দরে আসা পেঁয়াজের ৩৭৩ টন চালানের মধ্যে ১৭০ টন খালাসের ছাড়পত্র নিয়েছেন দু’জন আমদানিকারক। পেঁয়াজের চালান খালাসে ছাড়পত্রের আবেদন করার পর দ্রুতই তা দেয়া হচ্ছে।

উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র চট্টগ্রাম শাখার উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, কায়েল স্টোর নামের চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার থেকে ৫৪ টন পেঁয়াজ এনেছে। সোমবার চালানটির ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া গ্রিন ট্রেডার্স নামের চট্টগ্রামের অপর একটি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে এনেছে আর ১১৬ টন। মঙ্গলবার এ চালানটিরও ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর নমুনা পরীক্ষা করে এসব পণ্যের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও দুবাই থেকে সোম ও মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ১৩ কনটেইনারে ৩৭৩ টনের চালান এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে ছয়টি করে এবং দুবাই থেকে এক কনটেইনারে এ পেঁয়াজ এসেছে। পেঁয়াজের চালান খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

মিয়ানমার থেকে আনা ৫৪ টনের চালানটি এরইমধ্যে বন্দর থেকে খালাসের পর চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। পাইকারিতে এ পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা জানান, পাইপলাইনে থাকা পেঁয়াজ আগামী মাসের মাঝামাঝি দেশে এসে পৌঁছাতে পারে। তখন সংকট থাকবে না। পেঁয়াজ কম বলে অজুহাত তুলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে স্থলবন্দরকেন্দ্রিক আমদানিকারক ও আড়তদারদের একটি সিন্ডিকেট বাজার অস্থির করে তুলেছে। যদিও আড়তগুলোতে এখনও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। বিকল্প দেশ থেকে আসা পেঁয়াজ বাজারে প্রবেশ করলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার সুযোগ থাকবে না। খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্যাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস যুগান্তরকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা দুই কনটেইনার পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে এক কনটেইনারে থাকা ২৮ টন সোমবার রাতে প্রবেশ করে খাতুনগঞ্জে। এসব পেঁয়াজ আসা মাত্রই বিক্রি হয়ে গেছে। অন্য কনটেইনারটিতে থাকা পেঁয়াজ বিক্রির জন্য নেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের বাইরে।’

ইদ্রিস জানান, মিয়নমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে। এসব পেঁয়াজ ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে উন্নতমানের। দেশি পেঁয়াজের কাছাকাছি। ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬৫-৭০ টাকায়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসতে থাকলে সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top