সকল মেনু

বাবা মা হত্যার দায় স্বীকার করেছে ঐশী

download (5)আদালত প্রতিবেদক :পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তাদের মেয়ে ঐশী। একই সঙ্গে গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমিও হত্যার ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবান বন্দি দিয়েছে। এর আগে এই দুই আসমি ও ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিসহ তিনজনকে গত ১৮ অগাস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। রিমান্ডে থাকা কালিন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঐশী ও সুমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আদালতে জবান বন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজধারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। জবান বন্দি রেকর্ড করার আগে হাকিম আসমিদের চিন্তা করার জন্য সময় দেয়, আসামিরা জবান বান্দি দিবে কি না এজন্য। জবান বান্দি রেকর্ড শেষে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেন দেন। এছাড়া ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনমতি দেয় আদালত। গতকার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামরার তদন্ত কর্মকর্তা আরো ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানী শেষে একই হাকিম পাঁচ দিন রিান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে কফির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নিহত দম্পত্তিদের খাওয়ানো হয়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপুর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য আসামিকে আরো ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এদিকে ঐশীর আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা সাংবাদিকদের জানান, ঐশী অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন কিশোরী। ঐশীর স্কুলের রেকর্ড অনুযায়ী তার বয়স ১৮ বছরের কম। এই বয়সের কাউকে গ্রেফতার ও রিমান্ড শিশু অধিকারের লঙ্ঘন। একারনে এই মামলাটি কিশোর আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানাচ্ছি আমরা।

ওই আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম বলেন, ঐশীকে রিমান্ডে পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বয়স প্রমাণের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঐশী বাবা মা হত্যার কাথা স্বীকার করে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। ঐশীর পাশাপাশি গৃহকর্মী সুমিও হত্যার বর্ননা দিয়েছে আদালতের কাছে।

গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজ ও স্বপ্না রহমানকে হত্যা করা হয়। এই পুলিশ দম্পত্তি খুনের ঘটনায় মামলা করেন নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান। মাহফুজ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রাজনৈতিক শাখায় কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী স্বপ্না এবং দুই ছেলে-মেয়ে ও এক শিশু গৃহকর্মী নিয়ে চ্যামেলীবাগের বাসায় থাকতেন তিনি। ঐশী ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী । নিহত দম্পত্তিদের একমাত্র ছেলে ঐহী রহমান রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top