সকল মেনু

চীনে ডিজিটাল বডিগার্ড খুঁজছে নব্য ধনীরা

হটনিউজ ডেস্ক:

চীনের নব্য ধনীদের কাছে ট্র্যাডিশনাল বডিগার্ডের চেয়ে ডিজিটাল (হ্যাকিংসহ প্রযুক্তিগত কারিকুরি জানা) দেহরক্ষীর চাহিদা অনেক বেশি।

ডিজিটাল ডার্ক আর্ট জানা দেহরক্ষী অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর চেয়ে বেশি প্রিয় চীনা নব্য ধনীদের কাছে। দিন দিন বাড়ছে এ চাহিদা। সেটি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে তিয়ানজিন শহরের গেংগিশ সিকিউরিটি একাডেমি। এএফপি।

চীনের একমাত্র বডিগার্ড তৈরির প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রদের শেখানো হয় যে ‘এ যুগের ধনীরা অস্ত্রধারী গার্ড থেকে হ্যাকারদের বেশি পছন্দ করছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে।’ ফলে সে ধরনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় ছাত্রদের।

ম্যাচিং কালো কেতাদস্তুর স্যুট পরিধান করে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে হয় ছাত্রদের। ট্র্যাডিশনাল যুদ্ধকৌশল, অস্ত্র চালনা ও দ্রুতগতির ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল প্রতিরক্ষা কার্যক্রম শেখানো হয়।

তবে মাত্রাতিরিক্ত চাহিদার কারণে বডিগার্ড সরবরাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেংগিশ সিকিউরিটি একাডেমিকে। কারণ চীনে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা। ক্রেডিট সুইসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চীনে ৪৪ লাখ মিলিয়নিয়ার ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি।

আর এরা ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞাত দেহরক্ষী খুঁজে থাকেন। গেংগিশ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনা কর্মকর্তা চেং ইয়োংকুয়িং বলেন, সেরারাই টিকে থাকে। আমার এখানকার নিয়মকানুন সামরিক বাহিনীর চেয়েও কড়া।

এখানকার অর্ধেকের বেশি ছাত্র সাবেক সামরিক কর্মী। প্রতিষ্ঠানটির কোর্স ফি তিন হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকলেও তাদের চাহিদা একটুও কমেনি।

একাডেমির প্রশিক্ষক ঝি পেংপেই বলেন, ‘আমরা চীনা বডিগার্ডের মানসম্মত সংজ্ঞা নির্ণয় করছি।’ প্রশিক্ষণে তিনি ছাত্রদের শেখাচ্ছেন, তোমাদের কাছ থেকে যুদ্ধ প্রত্যাশা করে না চীনা নিয়োগকারীরা। বরং তারা তোমাদের কাছে চাইবেন মুহূর্তের মধ্যে একটি ভিডিও ফাইল ডিলিট করে দেয়া সেবা।

তবে এর অর্থ এটা নয় যে, সামরিক ডিসিপ্লিন ও নিয়মকানুন সেখানে শেখানো হয় না। সেটাও সমান গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হয়। প্রশিক্ষক যখন বলেন, বিপদ! দ্রুত বসকে পেছনে ফেলে অস্ত্র টেনে বের কর, তখন দুই সেকেন্ডের মধ্যে সেটা করে দেখাতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ পুশআপ (বুকডাউন) দিতে হয়।

মজার বিষয় হচ্ছে, চীনে বডিগার্ডদের জন্য অস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ এবং সামরিক বাহিনীর বাইরে অন্য কারও অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণও নিষিদ্ধ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top