সকল মেনু

না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেতা কে এস ফিরোজ

হটনিউজ ডেস্ক:

বরেণ্য অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই। বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর৷

জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী খবর নিশ্চিত করেছেন।

অভিনেতা কে এস ফিরোজের করোনা পজেটিভ ছিল। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। জ্বর নিয়ে একটি হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে তাকে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি হয়েই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। শেষ রক্ষা হয়নি। আজ সকালে পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কে এস ফিরোজ।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বনানী সামরিক কবরাস্থানে কে এস ফিরোজের জানাজা হবে এবং সেখানেই সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থানে বাদ জোহর তাকে দাফন করা হবে।

অভিনয়ের বাইরেও এক বর্ণিল ক্যারিয়ার কে এস ফিরোজের। ১৯৬৭ সালে কে এস ফিরোজ বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি নেন। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তার আগে ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর মাধবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কে এস ফিরোজের তিন মেয়ে। তারা হচ্ছেন নাদিয়া, সাদিয়া ও রাবেয়া জাহান ফিরোজ।

উল্লেখ্য, গুণী এই অভিনেতার গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে। তবে তার জন্ম তার ঢাকার লালবাগে। তার বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান। অবশ্য এলাকার মানুষ তার বাবাকে উজির মিয়া নামেই চিনতেন।

মঞ্চ নাটক দিয়ে শুরু হয়েছিল কে এস ফিরোজের অভিনয় যাত্রা। নাটদ্যল ‘থিয়েটার’র সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে।

কে এস ফিরোজ অল্প কিছু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। তার প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। অভিনয় করেছেন আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘ বাশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’র মতো প্রশংসিত সিনেমায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top