সকল মেনু

বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের হুমকির মুখে জাবি

Ju-sm20130823072243হটনিউজ টিম, হটনিউজ২৪বিডি.কম,জাবি: সিনেটসহ অন্যান্য সভাও ঠিক মতো হচ্ছে না। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত নিয়তিম ক্লাস হবে না, ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষাই হবে না। কার্যত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অচল হয়ে পড়বে বলে হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল আহসান।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, মোস্তাফা নাজমুল মানসুর আওয়ামীপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফও আলী উপস্থিত ছিলেন।

কামরুল আহসান বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া কোনো সমাধান নেই।’

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হলে মেনে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেনে নেওয়া হবে না। কারণ, এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সভা করতে পারবেন না। কার্যত, বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে যাবে।’

বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছেন বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। বর্তমান সরকারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে রেখে তাদের অবস্থান শক্ত বলে দলের শীর্ষ পর্যায়ে জানান দিচ্ছেন।

প্রায় তিনশ ৭০ জন শিক্ষক উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দাবি করা হলেও শুক্রবার বিকেল পাঁচটার সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে দেখা যায় মাত্র ১৫ জন শিক্ষককে। এদের অধিকাংশই বিএনপি ও সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত ও তার গ্রুপের শিক্ষক।

শিক্ষকদের উপস্থিতি সম্পর্কে বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘আমরা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে এখানে অবস্থান করছি।’

অপরদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই এই অচলাবস্থার নিরসন হবে।’

উল্লেখ্য, পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিএনপি ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থি শিক্ষকরা।

একই দাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’-এর ব্যানারে তারা আগামী শনি, রবি ও সোমবার সর্বাত্মক ধর্মঘট ডেকেছেন।

এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন। আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে গভীর সংকটে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপাচার্য।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আন্দোলনরত ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম, ‘সাধারণ শিক্ষক পর্ষদ’, ‘শিক্ষক মঞ্চ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান এই সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আন্দোলনকারী ও বামপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top