হটনিউজ ডেস্ক:

সুশান্তের সর্বশেষ প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের সাক্ষাৎকার। মাত্র পাঁচ দিনে কেবল ইন্ডিয়া টুডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ২২ লাখের বেশিবার। এই সাক্ষাৎকার বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এখানে রিয়া বলেছেন যে ইউরোপ ট্যুরে সুশান্ত তাঁকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি প্লেনে ওঠার আগে ক্লাস্টোফোবিয়ায় (বদ্ধ জায়গার ভীতি) ভুগতেন। তাই প্লেনে ওঠার আগে মোটাফিলিন খেতেন। এ কথা শুনে সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে বেজায় খেপেছেন। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ককপিটে বসে প্লেন চালাচ্ছেন সুশান্ত। এর ক্যাপশনে অঙ্কিতা লিখেছেন, ‘এর নাম ক্লাস্টোফোবিয়া?’

দীর্ঘদিন ধরে ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’–এ ভুগছিলেন সুশান্ত, রিয়ার এই দাবিও খারিজ করে দিয়েছে তাঁর পরিবার। মাসকাসক্ত ছিলেন সুশান্ত, এর উত্তরে সুশান্তের পরিবার বলেছে, এই কথাটা সত্যি। আর এ জন্য রিয়াকেই দায়ী করছেন সুশান্তের বাবা আর বোনেরা।

সুশান্ত ৮ জুন তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তাই রিয়া বের হয়ে এসেছিলেন। পরদিন রিয়া কেমন আছে জানতে চেয়ে মেসেজ পাঠান সুশান্ত। সেই মেসেজ দেখে আরও রেগে গিয়ে সুশান্তকে ব্লক করেন রিয়া। তবে তিনি এ–ও বলেন যে বলিউড মাফিয়ারা সুশান্তকে একঘরে করেছিল।

রিয়া জানান, সুশান্ত ৮ জুন তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তাই রিয়া বের হয়ে এসেছিলেন। পরদিন রিয়া কেমন আছে জানতে চেয়ে মেসেজ পাঠান সুশান্ত। সেই মেসেজ দেখে আরও রেগে গিয়ে সুশান্তকে ব্লক করেন রিয়া। তবে তিনি এ–ও বলেন যে বলিউড মাফিয়ারা সুশান্তকে একঘরে করেছিল। ‘ছিছোড়ে’ বা ‘সনচিড়িয়া’ জনপ্রিয় ও সমালোচনা বিভাগে নানা পুরস্কার পেলেও কোনো মনোনয়ন পাননি সুশান্ত। একবারও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়নি। কোনো দিন করণ জোহরের শোতে ডাকও পাননি তিনি।

এসবের ওপর ‘দিল বেচারা’ সিনেমার সহকর্মী সানজানা সংঘি আলোচনায় আসার জন্য সুশান্তের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। এরপর যতগুলো সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুশান্ত, সবগুলোতে তাঁকে ‘মি টু’ অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এই নিয়ে বিরক্ত হয়ে আর কোনো সাক্ষাৎকার না দিয়ে ঘরে নিভৃতে ছিলেন।

একের পর এক প্রেমে ব্যর্থতা, মাদক, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, নিম্নমুখী ক্যারিয়ার, পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা—সব মিলিয়ে সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল বলে দাবি রিয়ার।

সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া নিজেও একাধিকবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি সুশান্ত আমার সঙ্গেই আছে। ও আমাকে দেখছে, শক্তি জোগাচ্ছে। আমাকে যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে বলছে। আমিও সত্যটা জানতে চাই। সুবিচার চাই। আর সে জন্যই আমি এখনো বেঁচে আছি। প্রতিবার আত্মহত্যার চিন্তা সরিয়ে, একটা বড় শ্বাস নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিই।’