সকল মেনু

পুলিশ পেটানোর ২৪ ঘন্টায়ও গ্রেফতার হয়নি যুবলীগ নেতা

download (3)নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৩ আগষ্ট:পুলিশ কনষ্টেবল আকবর হোসেনকে পেটানোর ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কাওসার আহমেদ মৃধা এবং তাঁর এক সহযোগী মনজু’কে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শুধুমাত্র দফায় দফায় বৈঠক, একটি মামলা আর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে জেলার বড় পুলিশ কর্তারা তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। ফলে পুলিশ সহকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ দিকে ঘটনায় কাওসার আহমেদ মৃধা এবং তাঁর একান্ত সহযোগী মনজুর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার আহত পুলিশ কনষ্টবল মো. আকবর হোসেন (কং নং-৫০৫) বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কনষ্টবল আকবর হোসেন মাসিক প্যারেডে অংশ নিতে কর্মস্থল গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী আসেন । ওইদিন প্যারেড শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেহাকাঠি খেয়াঘাট পৌঁছেন তিনি। সেখানে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন। ওই সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ মৃধা তাঁর লোকজন নিয়ে সেখানে আসেন। যুবলীগ নেতাকে দেখে পায়ের ওপর পা রেখে চা পান করতে থাকা পুলিশ কনষ্টবল পায়ের ওপর থেকে পা না সরানোর কারনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে বেদম পেটাতে থাকেন যুবলীগ নেতা কাওসার এবং তাঁর সঙ্গী মনজু। এক পর্যায় নদীতে ঝাঁপ দিয় প্রাণে রক্ষা পান পুলিশ কনষ্টবল আকবর।

এদিকে একজন পুলিশ সদস্যকে কিভাবে পোশাক পরিহিত অবস্থায় পিটিয়ে নদীতে ফেলা হয়। কোন ক্ষমতায় নিজের ছবি দিয়ে ‘আমি একজন পাহারাদার’ এমন কথা উল্লেখ করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে ব্যনার লাগানো হয় এমন প্রশ্ন সাধারন জনগনের মধ্যে।

উল্লেখ্য গত কয়েকমাস আগে যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কাওছার হোসেন মৃধা নিজের ছবি সম্বলিত বেশ কিছু ফেস্টুন শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে টানিয়ে দেন এতে নিজেকে একজন পাহারাদার বলে উল্লেখ করেন।

শহরে অভিযোগ উঠেছে কাওছার মৃধা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের ভাই হওয়ার কারনে জেলা বড় কর্তারা পুলিশকে খুশি করেছে মামলা দিয়ে। আর ঐ দুই জন প্রতিনিধিকে খুশি করেছেন কাওছার মৃধাকে হাতে পেয়ে না ধরে।

এ ঘটনায় পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ আজিমুল হক জানান, সে এখন একজন আসামী। তাকে ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যহত আছে। তবে একজন মানুষ নিজেকে পাহারাদার বলে পোস্টার বা ব্যানার দিতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top